আমাদের মেজ ছেলে মো. লতিফুর রহমান ও পুত্রবধূ ফারিহা রহমানের প্রথম সন্তানের জন্ম হয় ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ (৮ পৌষ ১৪২৮, ১৯ জুমাদাল উলা ১৪৪৩) শুক্রবার রাত ৭-২৫ ডা. সালমা লাভরীনের তত্ত্বাবধানে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কল্যাণপুর)। জন্মের সময় নাতনির ওজন ছিল ৩.৫ কেজি। আগের দিন বৃহস্পতিবার ব্যথা উঠলে লতিফুরের আম্মা কর্তৃক কামালের সাথে পরামর্শক্রমে মাগরিবের পর ফারিহাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। সাথে যায় লতিফুরের আম্মা, লতিফুর ও আতিক। ডাক্তার ডেট দিয়েছিলেন ৪ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ায় সিজরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ডা. সালমা লাভরীনের হাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশু জন্মগ্রহণ করে। আলহামদু লিল্লাহ। লতিফুর ও আতিক গিয়ে মিষ্টি এনে হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট এবং উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন ও আতিকের বন্ধুদের মাঝে প্রদান করে।
জন্মের সময় উপস্থিত ছিল
দাদি, বাবা ও চাচা এবং জন্মের পরপরই হাসপাতালে উপস্থিত হন দাদা, নানি, ফুফু
তাহেরা, খালা (মুক্তি), দুই খালু (প্রিন্স ও নজরুল), খালাতো বোন (নজরুলের মেয়ে) ও
প্রিন্সের দুলা ভাই (টোলারবাগ)। সেই রাতেই ১১টায় নবজাতককে কেবিনে দেয়া হয়। কেবিনে দেয়া
হবে না মনে করে দাদি ও নানিকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেই রাতে লতিফুর একাই কেবিনে
ছিল। আল্লাহর মেহেরবানিতে কোনো সমস্যা হয়নি। ছেলেদের ঘরে প্রথম কন্যা জন্ম নেয়ায়
সবাই উৎফুল্ল হয়ে উঠে। দ্বিতীয় দিন নাম রাখা হয় হুমায়শা যার অর্থ স্রষ্টার উপহার।
হ্যাঁ, সন্তান মহান আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠতম উপহার এবং দাম্পত্য জীবনে পূর্ণতা
আনে সন্তান। আমরা আবারো আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি- আলহামদু লিল্লাহ।
দ্বিতীয় দিন শনিবার
লতিফুর আফতাবনগরে বাসা পরিবর্তন করে। সহযোগিতা করে আতিক, রেহান ও তামিম। সেদিন
রাতে লতিফুর ও রেহান নতুন বাসায় থেকে যায়। হাসপাতালে দেখতে আসে হুমায়শার নানি, বড়
খালু-খালা ও মেজ খালা-খালু এবং দাদি পাতা, বিনা ও কনা, ফুফু তাহেরা ও ফুফাতো
ভাই-বোন আহমাদ-তাসিফা, চাচা নুমান ও চাচী সুমাইয়া, ফুফু তনু, ছাবেরা, মালিহা।
রবিবারে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে হুমায়শাকে নিয়ে সরাসরি আমরা নতুন বাসায় উঠি।
নতুন বাসায় দ্বিতীয়
দিনে হুমায়শাকে দেখতে আসে ফুফু, ফুফা, তাসিফা ও আহমাদ। ফুফা মনির কোলে নিয়ে আদর
করে এবং গলায় হার পরিয়ে দেয়। পরক্ষণেই হুমায়শার নানা-নানি আসেন এবং খুলনা থেকে আনা
মিষ্টি দ্বারা সবাইকে মিষ্টিমুখ করা হয়। ফুফু তাহেরা নিজ হাতে রান্না মোরগ পোলাও
দ্বারা সবাইকে আপ্যায়িত করে। সেদিন ফারিহাদের বাসার খালা ফাতেমা এসে লতিফুরের
আম্মাকে ঘর গোছানো কাজে সহায়তা করে। তাহেরা ও তার আম্মা নতুন বাসায় রাত্রি যাপন
করে। আমি, মনির ও আতিক বাসায় ফিরে আসি।
তৃতীয় দিন বিনা ও আতিক
সেখানে যায়। মনির গাড়ি পাঠিয়ে দিলে রাতে হুমায়শার দুই দাদি এবং ফুফু তাহেরা তাসিফা
ও আহমাদসহ নিজ নিজ বাসায় ফিরে আসে। আমেরিকা থেকে বড় চাচা রনি সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর
রাখে এবং চাচাতো ভাই মাহের ও ফুরকান খুব খুশি হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে সকল খবরাখবর
(আপডেট) জানানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ
মোট বিল আসে ৫০,৫৭৫/- টাকা। ৫,০০০/- টাকা ছাড় দিলে পরিশোধ করতে হয় নিট ৪৫,৫৭৫/-
টাকা। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিটভাড়া (৩দিন) ১০,৫০০/-, ডা. সালমা লাভরীন
১২,০০০/-, ঔষধ ৭,৮৪১/-। হাসপাতাল থেকে খরচের পূর্ণ বিবরণী দেয়া হয়। ডাক্তার,
নার্স, আয়া সবার ব্যবহারে হুমায়শার দাদি ও আম্মা খুব সন্তোষ প্রকাশ করে।
আল্লাহপাক আমাদের
নাতনিকে তাঁর পূর্ণ হেফাজতে গ্রহণ করে সবধরনের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করুন। আল্লাহ
যেন এই সন্তান দ্বারা তার দাদা ও নানার পরিবারে প্রশান্তি দান করেন এবং বাবা-মার
চোখকে শীতল করে দেন। আমিন। ২৯.১২.২০২১
Comments
Post a Comment