Skip to main content

আল্লাহর প্রিয়ভাজন বান্দার পরিচয় ও জান্নাতে যাওয়ার উপায়

গতকাল আমাদের মসজিদে ফজরের সালাতে ইমাম সাহেব যখন সুরা সফ তেলাওয়াত করছিলেন তখনই আমার মধ্যে এক অস্থিরতা অনুভব করছিলাম। এই সুরাটি আমার পূর্ব থেকে পড়া ছিল। সুরাটি শুরু হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে, আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর প্রশংসা করে। তিনি দুনিয়া-জাহানের কারো মুখাপেক্ষী নন। মানুষ আল্লাহর ইবাদত করে ও তাঁর পথে চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালায় সেটি তার নিজেরই কল্যাণের জন্য। একটু এগিয়ে গিয়ে আল্লাহপাক বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন যারা সিসাঢালা প্রাচীরের মতো জামাতবদ্ধভাবে আল্লাহর পথে লড়াই করে’ (৪)। এরপর রসুল প্রেরণের উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তিনি সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসুলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন যাতে সকল দ্বীনের ওপর একে বিজয়ী ও প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, যদিও মুশরিকরা মোটেই বরদাশত করবে না (৯)।


এরপর ইমানদারদের করণীয় বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি কি বলবো এমন একটি ব্যবসায়ের কথা যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আজাব থেকে রক্ষা করবে? তা হলো, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রতি বিশ্বাস এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা বুঝো’ (১০-১১)। এর প্রতিফল হলো- ‘তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং এমন জান্নাতে দাখিল করানো হবে যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান। সেখানে চিরস্থায়ী বসবাসের জন্য উত্তম ঘরসমূহ রয়েছে এবং এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য (১২)। এ গেল আখেরাতের সাফল্য। সাথে সাথে এটিও বলেছেন, ‘তোমরা যে জিনিসের আকাঙ্ক্ষা করো- আল্লাহর সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়, আল্লাহ তাও দেবেন। হে নবি! ইমানদারদের এ সুসংবাদ দান করো’ (১৩)।

আমাদের একটু ভাবা দরকার। আমাদের নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজগার, দান-খয়রাত, মানুষের সাথে সদাচরণ, সৎ জীবন-যাপন, নেক কাজে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা এবং সকল পাপাচার থেকে দূরে থাকার মূলে রয়েছে একটিই চাওয়া- তা হলো আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাতলাভ। আমাদের বিশ্বাস ও আমলে কোনো ত্রুটি হয়ে যাচ্ছে কি না যা আল্লাহর ভালোবাসা ও জান্নাত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা একটু পর্যালোচনা দরকার।

সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর তাসবিহ করছে এবং ফেরেশতামণ্ডলী সর্বক্ষণ তাঁর প্রশংসা করছেন। এতকিছুর পরে তাঁর স্বতন্ত্র সৃষ্টি মানুষকে খলিফার মর্যাদা দিয়ে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন এবং প্রথম মানুষ আদম (আ)-কে দুনিয়ায় আসার সময় অভয়বাণী শুনিয়েছেন, ‘আমার পক্ষ থেকে যে হেদায়াত যাবে যারা তা অনুসরণ করবে তাদের কোনো ভয় নেই’। আল্লাহপাক যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রসুল প্রেরণ করেছেন এবং সর্বশেষ রসুল হলেন আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ (সা)। এখানে আল্লাহ তায়ালা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, দুনিয়ায় সকল মত ও পথের ওপর আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী করাই আমার রসুলের দায়িত্ব, আর কাফের ও মুশরিকরা এ কাজে বাধা সৃষ্টি করবেই।

এটি স্পষ্ট যে, একজন মুসলিম সেই যে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে ইসলামকে বিশ্বাস করে, কোনো সন্দেহ-সংশয় পোষণ করে না এবং সর্বোত্তম ও একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বাসের সাথে মানে। যারা ধর্মীয় জীবনে (নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজগার, দান-খয়রাত) ইসলামকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে মানে; আবার সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনীতিক জীবনে ইসলামকে না মেনে অন্য কিছু মানে মূলত তারাই মুশরিক। অর্থাৎ আল্লাহকে পরিপূর্ণভাবে না মেনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী (তাগুত) আরো অনেককে মানে। আল্লাহকে এককভাবে না মেনে আরো অন্য কিছু মানার নামই শিরক। শিরকের অপরাধ আল্লাহ কখনই ক্ষমা করবেন না। অন্য অপরাধ যাকে খুশি তাকে ক্ষমা করবেন।

কালিমা তাইয়্যেবাহ মেনে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে। এর অর্থ কেবল আল্লাহকে ইলাহ মানা নয় বরং সকল ইলাহকে অস্বীকার করে আল্লাহকে মানার নামই কালিমা তাইয়েবাহ বিশ্বাস। আল্লাহর আনুগত্যের পাশাপাশি তাগুতকে অস্বীকার করার নামই ইমান। আল্লাহর বাণী, 'তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তাগুতকে অস্বীকার করো।'

আল্লাহ ইমানদার ও কাফেরকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, ‘যারা ইমানদার তারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে এবং যারা কাফের তারা তাগুতের পথে লড়াই করে। তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে লড়াই করো। আর বিশ্বাস করো, শয়তানের ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল’- আন নিসা ৭৬। রসুলুল্লাহ (সা) নবুয়ত লাভের সাথে সাথে মানুষকে কালিমা তাইয়েবার দাওয়াত দিয়েছেন। শুধু তিনি নন, সকল নবি-রসুলের একই দাওয়াত এবং তার প্রতিক্রিয়াও একই ছিল। নবি-রসুলরা হলেন পৃথিবীর মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। অথচ তাঁদের দাওয়াত কেহই সাদরে গ্রহণ করেনি এবং সকলেই নির্যাতনের সম্মুখিন হয়েছিলেন। মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর যারা ইমান এনেছিল তাঁদের প্রতিও জুলুম-নির্যাতন সমভাবে এসেছিল এবং কেয়ামত পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

ইসলামকে বিজয়ী করার মিশন দিয়ে আল্লাহপাক মুহাম্মদ (সা) সর্বশেষ নবি ও রসুল হিসেবে প্রেরণ করেন এবং তাঁর অবর্তমানে এ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাঁর অনুসারীদের ওপর। এ কাজটি একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়, এজন্য দরকার সম্মিলিতি প্রচেষ্টা। আল্লাহর প্রতিটি কথা গুরুত্বপূর্ণ এবং বান্দার জন্য অবশ্য পালনীয়। শ্রোতামণ্ডলীর গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য আল্লাহপাক মাঝে মাঝে কসম খেয়েছেন আবার কখনো কখনো ইন্না (অবশ্যই) শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই সুরার ৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন যারা সিসাঢালা প্রাচীরের মতো জামাতবদ্ধভাবে আল্লাহর পথে লড়াই করে’। এখানে আল্লাহ তায়ালা দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টারত বান্দাদের শুধু সংঘবদ্ধ হওয়ার কথাই বলেননি বরং এ জামাতকে সিসাঢালা প্রাচীরের সাথে তুলনা করেছেন। বিপদ-মুসিবত, জুলুম-নির্যাতন কোনো কিছুই তাদেরকে জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। তারা জামাতকে কামড়ে ধরে থাকে এবং লোভ-লালসা, ভয়-ভীতি তাদেরকে চুল পরিমাণ সরাতে পারে না। এরাই আল্লাহর প্রিয়ভাজন এবং আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন। পক্ষান্তরে রসুলুল্লাহ (সা)-কে যেমন মুশরিকরা সহ্য করতে পারেনি; তেমনি তাদের উত্তরসুরি বর্তমানে যারা ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ হিসেবে মেনে নিতে পারে না তারাও মুশরিক এবং যারা মুশরিক (তাগুতের সহযোগী) তারা চুপ থাকতে পারে না, অবশ্যই ইসলামের বিরোধীতা করবে (আল্লাহর ঘোষণা তাই বলে)। তাদেরকে পরাজিত করেই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে হবে।

দ্বীন প্রতিষ্ঠা কাজে বিরোধীতা করে কেউ নিজেকে মুসলিম দাবী করতে পারে না। তার নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ও নেক আমল আল্লাহর কাছে কোনো মূল্য বহন করে না। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই। বাহ্যিকভাবে এই লোকটির সব ছিল, কিন্তু সেই সাথে ছিল রসুল (সা)-এর প্রতি বিদ্বেষ। তাই ইসলামের আচার-অনুষ্ঠান মানা সত্ত্বেও সে কখনই ইসলামের বিজয় কামনা করেনি বা বিজয়ের লক্ষ্যে কোনো চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালায়নি। এই সুরার ১২ নং আয়াতে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর গুরুত্ব উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ স্পষ্ট করেছেন, আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক আজাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যম্ভাবী জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তার বিনিময়ে আল্লাহপাক তাঁর বান্দার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। শুধু তাই নয়, আল্লাহর প্রকাশ্য ঘোষণা, জান্নাতে দাখেল করানো হবে এবং সেখানে অতি উত্তম ঘরসমূহ তাদের দেয়া হবে। মানবজীবনে এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য। দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না থাকলে মোমিনের জীবন হয় জিল্লতির জীবন, কষ্টের জীবন, তাই মোমিনের আকাঙ্ক্ষা থাকে দ্বীনের বিজয়। সুরার ১৩ নং আয়াতে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহর সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়ের সুসংবাদ শোনানো হয়েছে।

কালিমা তাইয়েবাহ (লা ইলাহা ইলাল্লাহ) একটি বিপ্লবাত্মক ঘোষণা। দুনিয়ায় যখনই এবং যে রসুলই এই ঘোষণা প্রদান করেছেন তঁদের ওপর তাগুত ও তার সহযোগীরা হামলে পড়েছে। লোভ-লালসা, ভয়-ভীতি, জুলুম-নির্যাতন কোনো কিছুই তাঁদের নীরব করতে পারেনি। তারা মানুষের কাছে এই দাওয়াত অব্যাহত রেখেছেন এবং এই কাজে সকল বাধা-বিপত্তি নীরবে সহ্য করেছেন। মক্কায় দীর্ঘ তেরোটি বছর রসুলুল্লাহ (সা) সকল বাধা উপেক্ষা করে মানুষের কাছে দাওয়াত প্রদান করেছেন। যারা সাড়া দিয়েছেন তাদেরকে একত্রিত করেছেন ও পরিশুদ্ধ করেছেন। মৌলিক মানবীয় গুণে সজ্জিত তাঁর এই সাহাবিরাই মদিনায় একটি সফল ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। তেরো বছর মক্কী জীবনে তিনি একতরফা মার খেয়েছেন এবং পাল্টা কোনো মার দেননি। মক্কায় তেরো বছরের পরম ধৈর্য ও সহনশীল জীবন এবং মদিনায় দশটি বছর যুদ্ধবিগ্রহ সবমিলে তাঁর জীবনটা কেটেছে আল্লাহর পথে সংগ্রামে (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ)। মনে রাখতে হবে, কোনো ব্যক্তি বা দল সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণার অধিকার রাখে না; এ অধিকার কেবল ইসলামী রাষ্ট্র বা সরকারের। কুরআন ও রসুলুল্লাহ (সা)-এর জীবনী আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। ইসলামের নামে সশস্ত্র যেসব গ্রুপ বিভিন্ন দেশে তৎপর, এরা হয় বিভ্রান্ত নয়তো ইসলামের শত্রুদের ভাড়াটে। মোমিনদের উচিৎ এদের থেকে দূরে থাকা।

হাদিসের ভাষায় দ্বীনের ভিত্তি নামাজ এবং এর চূড়া হলো জিহাদ। হাদিসে বলা হয়েছে, ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি- কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মানুষ ঘরের ভিত্তি বা খুঁটি গাড়ে ওপরে একটি ছাদ করার লক্ষ্যে। ছাদ হতে পারে ছনের, টিনের বা ইটের। ওপরে ছাদ ছাড়া সেই ঘর থেকে মানুষ কোনো ফায়দা লাভ করতে পারে না, অর্থাৎ শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো কিছু থেকে সে নিরাপদ থাকে না। ছাদ ছাড়া সেই ঘরে টাইলস লাগানো, ঝাড়বাতি বা সৌন্দর্যমণ্ডিত করা সবই মূল্যহীন ও পণ্ডশ্রম। ঠিক তেমনি জিহাদরিক্ত যে জীবন সে জীবন মুসলিমের জীবন নয়, তার আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় নয়। এখানে জিহাদ বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি অন্তত একজন মানুষের মধ্যে জিহাদের তামান্না থাকতে হবে অর্থাৎ সে চাইবে, যে জনপদে সে বসবাস করে সেখানে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী হোক এবং কোনো না কোনোভাবে সে সহযোগিতা করবে। ইসলামের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান তাদের সাথে কখনই তার সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। এ জাতীয় লোকদের ইমান ও নেক আমল তাদেরকে জান্নাতে পৌঁছে দেবে ইনশা-আল্লাহ। কুরআন মজিদে বিভিন্ন জায়গায় ইমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ লোকদের জন্য আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। একজন বেদুইন এসে রসুলুল্লাহ (সা)-কে নসিয়ত করার কথা বললে আল্লাহর রসুল (সা) তাকে ইমান, নামাজ, রোজা এবং হজ ও যাকাত (সামর্থ থাকলে) আদায়ের কথা বলেন। সে জবাব দেয়, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি এর বেশিও করবো না আবার কমও করবো না। লোকটি চলে যাবার পরে রসুলুল্লাহ (সা) বলেন, জান্নাতি লোক দেখতে চাইলে তোমরা এই লোকটিকে দেখতে পারো। এই বেদুইনটি ছিল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। ফলে তার অতটুকু আমলই জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

এই বেদুইনের জন্য জান্নাতের ঘোষণায় আমার উপলব্ধি, সকল মতাদর্শ থেকে নিজেকে মুক্ত করে ইসলামকে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ হিসেবে বিশ্বাসী ব্যক্তি যদি নেক আমলে সমৃদ্ধ হয় আশা করা যায় আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা করবেন এবং জান্নাত দান করবেন। আর যারা জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় চালায় তাদের খুলুছিয়াত ও চেষ্টা-প্রচেষ্টার ফল হিসেবে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে। আর ইসলামকে যারা খণ্ড-বিখণ্ড করবে (কুরআনের ভাষায় কিছু অংশ মানবে এবং কিছু অংশ অমান্য করবে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ও আখেরাতে ভয়াবহ আজাব) ও নানা মতাদর্শে বিশ্বাসী হবে তারা মূলত আল্লাহর সাথে শিরক করে এবং আল্লাহপাক তাদের সকল আমল বরবাদ করে দেবেন। এদের পরিণতি হবে জাহান্নাম। ইসলামকে অমান্য করার পাশাপাশি যারা আল্লাহর বান্দাদের সাথে জুলুম করে তাদের পরিণতি হবে বড় ভয়াবহ (যারা ইমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয়, অতঃপর তওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভষ্ম হওয়ার শাস্তি)। আল্লাহপাক আমাদের সঠিক উপলব্ধি দান করুন। ২৯.০৬.২০২১

Comments