Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2019

আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে অপরাধমুক্ত করে

মারামারি, খুনোখুনি মানব সমাজের সূচনালগ্ন থেকে চলে আসছে। আদিপিতা হযরত আদম (আ)-এর এক ছেলে অপর ছেলেকে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত নরহত্যার সূচনা এবং তা অব্যাহত রয়েছে। সমাজে হানাহানি, রক্তারক্তি কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকলে তা কমে এবং মারামারি-খুনোখুনি বাড়লে সবাই বলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। তখন সবাই দাবী করে আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগের যাতে সমাজে কেউ অপরাধ করার সাহস না পায়। বর্তমানে সারা বিশ্বেই আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যায়। তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে জননিরাপত্তা বর্তমানে বড় হুমকির সম্মুখীন। রসুল (সা)-এর আগমনের পূর্বে আরবের সমাজটা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা ছিল না। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং খুন-যখম ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একে অপরের প্রাণ হরণ করতে একটুও দ্বিধা করতো না। অনেক সময় তাদের মাঝে মারামারি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ বংশ পরম্পরা চলতো। এ ছাড়া মানবীয় সকল সৎ গুণাবলী তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সমাজে সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিল না। সবচেয়ে বড় অবহেলিত ও নির্যাতিত ছিল নারী সমাজ ও দাসশ্রেণি। এমন...

হজ্জের গুরুত্ব

আজ ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে জু'মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম প্রথমে আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করেন এবং আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেয়ার তাওফিক ও ইসলামের মত নেয়ামত দান করার জন্য আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায় করে পড়েন আলহামদু লিল্লাহ। চরম নৈতিক অধপতন ও দেশে খুন-খারাবি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত পাশবিকতার শিকার হচ্ছে, তুচ্ছ কারণে মানুষ খুন হচ্ছে এবং সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে ও বিরাট সংখ্যক মানুষের উপস্থিতে স্ত্রীর সামনে তার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা আমাদের চরম নৈতিক অধপতনেরই প্রমাণ বহন করে। মানুষ দাঁড়িয়ে দেখেছে কিন্তু কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি। আমি-আপনি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে ভিন্নতর কিছু ঘটবে না। এই অশান্তি শুধু আমাদের দেশেই নয়, এ অশান্তি এখন বিশ্বব্যাপী। শান্তি পেতে হলে ইসলামেই ফিরে আসতে হবে। সমাজে শান্তি পারতিষ্ঠার জন্য মটিভিশনের পাশাপাশি ইসলামের দন্ডবিধি প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহতায়ালা কিসাসের বিধান জারি করেছেন এবং বলেছেন এতেই রয়েছে তোমাদের প্রাণ। ইসলামের এ শাস্তি প্রকাশ্য এবং তা দ...

দাওয়াতে দ্বীন ও তার প্রতিক্রিয়া

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আল্লাহর পক্ষ থেকে যত নবী-রসুল এসেছেন সবারই দাওয়াতের বিষয় ছিল এক ও অভিন্ন এবং সেটাকে আমরা কালিমা তাইয়্যেবা হিসেবে জানি- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)। ব্যাখ্যাস্বরূপ বলা যায়- আ ’ নিই বুদুল্লাহ ওয়াজ তানিবুত তা ’ গুত (আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তা ’ গুতকে অস্বীকার করে)। কালিমার মাঝে একটি নেতিবাচক দিক রয়েছে- আল্লাহর মোকাবেলায় সবাইকে অস্বীকার করার ঘোষণা। আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা)-ও একই বিষয়ে দাওয়াত প্রদান করেছেন। কোন সম্প্রদায় বা জাতির সর্বোত্তম ব্যক্তিকেই আল্লাহপাক তাদের জন্য নবী হিসেবে মনোনীত করেন। মুহাম্মদ (সা)-ও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি ছিলেন তাঁর জাতির মঝে সবচেয়ে সৎ, চরিত্রবান, বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। মানবচরিত্রের সকল সৎ গুণের সমাবেশ তাঁর মাঝে ঘটেছিল। তাঁর জাতির লোকেরা তাঁকে আল-আমিন, আস-সাদিক হিসেবে জানতো এবং তিনি ছিলেন তাদের আমানতদার, পরামর্শদাতা ও বিবাদ-বিসংবাদের মিমাংসাকারী। জাতির বিরুদ্ধাচরণের কোন প্রমাণ তাঁর মাঝে ছিল না। মুহাম্মদ (সা) ৪০ বছর বয়সে নবুয়তপ্রাপ্ত হন। তাঁর দাওয়াতে প্রথম সাড়া দেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা ...

গোসলের বর্ণনা

আজ কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু'মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ এবং রসুল (সা)-এর ওপর দরুদ ও সালাম পেশের পর সূরা বাকারা ২২২ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন এবং সরল অর্থ পেশ করেন- ‘ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ও পবিত্রতা-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনকারীদেরও ভালোবাসেন ’ । সাথে একটি হাদিস উদ্ধৃত করেন- ‘ পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক ’ । পবিত্রতার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অপবিত্রতা নিয়ে ওযু ও নামায কোনটিই হবে না।   তিনি বলেন গোসল চার প্রকার। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব। স্বামী-স্ত্রীর মিলন ও স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। গোসলের ফরজ ৩টি। গড়গড়ার সাথে কুলি করা, নাকের নরম জায়গায় পানি প্রবেশ করানো এবং সারা শরীরে পানি পৌঁছে দেয়া। তিনি রসুল (সা)-এর দুই স্ত্রীর মা আয়িশা (রা)ও মা মায়মুনা (রা) কর্তৃক রসুল (সা)-এর ফরজ গোসলের বর্ণনা দেন। সার কথা হলো রসুল (সা) প্রথমে নাপাকি পুরিষ্কার করার পর পূর্ণরূপে ওযু করতেন এবং মাথার চুলগুলো খেলান করতেন ও মাথা ধুয়ে ফেলতেন। এরপর সারা শরীরে পানি পৌঁছানোর পর সেখান থেকে সরে এসে পা ধুয়ে নিতেন। তিনি বলেন, গোসলের ...

আমাদের গন্তব্য কোথায়?

স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই শিশু সায়মা মাত্র ৭ বছর বয়সে ধর্ষণসহ হত্যা,আজকের খবর মাগুরায় ক্রিকেটার হত্যা, রাজধানীতে কিশোর খুন, মিরসরাইয়ে যুবক হত্যা, সাভারে স্কুল ছাত্রের (৮ম শ্রেণি) আত্মহত্যা ও চট্টগ্রামে তরুণের লাশ উদ্ধার, চাকরির দ্বন্দ্বে খুন লালবাগে এক মসজিদের খাদেম হানিফ এবং এর বাইরে রয়েছে দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর।পাশাপাশি খবর কক্সবাজার কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৯ গুণ বেশি বন্দী, ঘুমাচ্ছেন পালা করে। এই হলো আমাদের দেশের চিত্র। দেশে রাজনীতিশূন্যতার মাঝেও আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ধর্ষণ, খুন ও আত্মহত্যা (আত্মহত্যাকারী নিজেও একজন খুনি) এসব এতো বেড়ে যাওয়ার মূলে কী কারণ আমাদের একটু ভেবে দেখা দরকার। নারীর প্রতি এ সহিংসতা আমাদের স্মরণ করে দেয় ইসলামপূর্ব জাহিলিয়াতের কথা। সে সমাজে নারী ছিল বড় নিরাপত্তাহীন। সমাজ ও অপরাধবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন কঠোর শাস্তি দিলেই অপরাধ নির্মূল হবে না, সাথে সাথে অপরাধ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তাদের নিয়ে নানাবিধ উদ্বুদ্ধকরণ (মটিভিশন)কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। অনুসন্ধান চালালে দেখা যাবে হত্যা ও আত্মহত্যার পে...