The
Role of Faith-based Organizations in Promoting SDGs শীর্ষক BIIT-এর
উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপের তৃতীয় সেশনে (UN SDGs from Gender
Perspective) শিরোনামে BIIT-এর
সম্মানিত প্রেসিডেন্ট জনাব শাহ আব্দুল হান্নান-এর সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন
করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম. রশীদ চৌধুরী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি ড. আবুল হোসেন ও মিসেস তাজিমা হোসেন মজুমদার (The
Hunger Project Bangladesh)|
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপের মূল আকর্ষণ ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান
BIIT-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব শাহ আব্দুল হান্নান। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের সচিবসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। বয়স
প্রায় ৮০ হলেও আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি এখনো বেশ সুস্থ ও কর্মক্ষম আছেন। তৃতীয়
সেশনে আলোচকদের কেউ কেউ মেয়েদের গার্মেন্টসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে খুবই ইতিবাচক
হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বাল্য বিবাহ আইনে সরকারের ছাড় দেয়াকে সমালোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন যে, মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবশ্যই তার
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনুকূল পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য ও মন-মানসিকতার সাথে
সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে দায়িত্ব দিতে হবে। আসলে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
নারীকে আল্লাহপাক যে সম্মান দিয়েছেন তাকে সেই সম্মান দিতে হবে। ৬৬৬৬ আয়াতের মধ্যে
অধিকাংশ আয়াত নারী ও পুরুষের জন্য এবং কিছু আছে শুধু পুরুষ ও কিছু আছে শুধু নারীর
জন্য। নারীর ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরুষের ওপর দিয়ে নারীর প্রতি ইহসান
ও তাকে সম্মানিত করা হয়েছে। তিনি বলেন বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টকে যারা পাহারা দেয়
তাদের মর্যাদা বেশি, না যাকে পাহারা দেয়া হয় তাঁর মর্যাদা বেশি। আল্লাহপাক পুরুষকে
নারীর পাহারায় নিযুক্ত করে নারীকে সম্মানিত করেছেন। নারীকে একা সফরে যেতে রসূল
(সা.) নিষেধ করেছেন। আসলে নারীর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নারী ও পুরুষ
প্রতিদ্বন্দ্বি নয়, পরস্পরের পরিপূরক। দুই-এর মর্যাদা পরস্পরের বন্ধু ও সাথী।
অবশ্য রসূল (সা.) এটাও বলেছেন-‘সেদিন
দূরে নয় যেদিন একজন ষোড়শী সানা থেকে হাজরা মাওত একাকী হেঁটে যাবে, তাকে আল্লাহ
ছাড়া আর কাউকে ভয় করতে হবে না’।
তিনি বিমানে নারীর একাকী সফরের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন যে ড. কারজাভীও তাই বলেন।
বাল্যবিবাহ বিষয়ে সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন
একান্ত প্রয়োজন হলে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত বয়সের কমে বিয়েতে তো কোন
দোষ নেই বরং সেটাই হওয়া উচিৎ। মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে এবং কন্যা হিসেবে নারীকে
সম্মান দিতে হবে। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে মারার অধিকারকে তিনি স্বীকার না করে বলেন
যে, দারাবা শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। ত্যাগ করা, আলাদা করে রাখা ইত্যাদি।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়ন হতেই পারে, তাই বলে শারীরিক আঘাত মেনে নেয়া যায়
না। ইবনে আব্বাস বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায় ‘যদি মারতেই হয় তবে মেসওয়াক দিয়ে অর্থাৎ টুথব্রাশ দিয়ে’। রসূল (সা.)-এর আমল হলো তিনি তাঁর স্ত্রীদেরকে পৃথক হয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বাসাবাড়িতে কাজের মহিলাদের সাথে সদাচরণের জোর তাগিদ দেন। তিনি জানান যে, তাঁর
বাসার কাজের মহিলাকে তিনি মাসে দশ হাজার টাকা বেতন দেন। দৃষ্টিভঙ্গি হলো রসূল (সা.)-এর
সুন্নাহ। তোমরা যা খাও তাদেরকে তাই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাদেরকে তাই
পরিধান করেত দাও। বেতনস্কেল নির্ধারণের সময়ও একটি পরিবারের খাওয়া-পরা বিষয়ে
বিবেচনা করা দরকার। তিনি আরো বলেন যে, খানা খাওয়ার সময় তিনি তাঁর বাসার
চাকর-বাকরসহ এক টেবিলে খানা খান।
উত্তরাধিকার আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন নারীকে পুরুষের চেয়ে
অর্ধেক দেয়া হলেও নারীকে দায়িত্বমুক্ত করার কারণে প্রকৃতপক্ষে নারীর প্রতি
সুবিচারই করা হয়েছে। তিনি রসিকতা করে বলেন যে, সব সময় মেয়েদের পক্ষে কথা বলার জন্য
অনেকে তাঁকে Mr. Woman বলেন। আল্লাহর কাছে তাঁর দীর্ঘায়ু, সুস্থতা ও কর্মক্ষম জীবন
কামনা করি। ১৮/০৪/২০১৭
Comments
Post a Comment