The Role of Faith-based Organizations in Promoting SDGs
শীর্ষক BIIT-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব ও এনজিও ব্যুরোর পরিচালক জনাব গোকুল
কৃষ্ণ ঘোষ। তাঁর বিনয়সূচক আচরণ সবাইকে মুগ্ধ করে। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি এক
দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। বুয়েটে লেখাপড়া করেছেন। তিনি তাঁর অতীতকে ভুলে
যাননি। তাঁর ভাষায়-‘মাঠে
গরুচরানো ও লাঙ্গল চালানোর স্মৃতি এখনো আমার হৃদয়ে জ্বলজ্বল করে। অত্যন্ত সাধারণ
অবস্থা থেকে এই পর্যায়ে পৌঁছার জন্য আমি আমার স্রষ্টার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি
গাড়ি পেয়েছি, লক্ষ টাকা বেতন পাই এবং সম্মানের সাথে চলার সুযোগ পেয়েছি। এরপরও
ঘুষ-দুর্নীতি আমি কল্পনাও করতে পারিনা। আমি জনগণের সেবক এবং সেবা দিতে চাই। আমার
অফিসে কেউ গেলে তাঁকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয় এবং সরকারি বিধি মোতাবেক সকল কাজ
সর্বোচ্চ ২৬দিনের মধ্যে সমাধান করা হয়। কারো যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। মেইলে আবেদন
পাঠালেই তাতে জবাব দেয়া হয়। আমার কাজ এনজিওদের সাথে এবং আমি নিজ থেকেই তাদেরকে ঈদ,
পূজা ও নববর্ষে মেসেজ দিয়ে থাকি। ছোটকালে আমার মা শিখিয়েছেন পূজায় যেতে হলে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যেতে হয়। আমি আমার জীবনের সকল ক্ষেত্রে তা মেনে চলি।
আপনারাও বলেন -পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ এবং দৈনিক পাঁচবার পবিত্র-পরিচ্ছন্ন হন।
তারপরও এই ঢাকা শহর কত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন। একে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবারই নৈতিক
দায়িত্ব’।
তাঁর কথায় ওয়ার্কশপে সবাই অভিভূত হয়ে পড়েন। বর্তমানে সৎ ও
দায়িত্ববান কর্মকর্তা খুবই বিরল। দীর্ঘ সময় তিনি ওয়ার্কশপে কাটান এবং সবার আলোচনা
মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তাঁর অসুস্থ মাকে ডাক্তারের কাছে নেবেন বলে শেষ হওয়ার কিছু আগে
বিদায় নেন এবং সবার কাছে ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর দিয়ে যান। আমরা তাঁর মা’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। তাঁর ও তাঁর পরিবারের সার্বিক
কল্যাণ কামনা করি। আমাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁর মত হোক-পরম করুণাময়ের কাছে
এই আমাদের প্রার্থনা। ১৭/০৪/২০১৭
Comments
Post a Comment