Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2015

ফেসবুকে আমার সম্প্রতি লেখা থেকে

একটি সুন্দর সকাল কাটালাম                                                                   ২৪/০৪/২০১৫ ফজরের নামায শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দুর শিক্ষক ড. মুফতি রশীদ আহমদ (খতিব , পল্টন জামে মসজিদ)-এর সাথে রাস্তায় হাঁটার পর স্যার তাঁর বাসায় নিলেন। সেখানে চা পানের ফাঁকে ফাঁকে আল্লাহর সৃষ্টি , তাঁর মহত্ত ও তাঁর দ্বীন নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা হলো এবং দু’টি বই (এক মিনিটের মাদ্রাসা ও খাযায়েনে কোরআন ও হাদিস (কোরআন ও হাদিসের রত্নভান্ডার) তিনি প্রদান করলেন। খাযায়েনে কোরআন ও হাদিস বইটির শুরুতে স্থান পাওয়া প্রখ্যাত উর্দু কবি হযরত খাজা আযীযুল মজযূব (র.) (কর্মজীবনে ডিসি ছিলেন)-এর একটি কবিতার ছন্দ ও তার অনুবাদ এবং হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (র.)-এর একটি নসীয়ত সবার সঙ্গে শেয়ার করা...

এক পুণ্যবান পিতার গর্বিত সন্তান

                                                                                 জনাব আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ প্রখ্যাত আলেম ও জননন্দিত ইসলামী নেতা মরহুম মাওলানা আব্দুল আলীর চতুর্থ পুত্র। মাওলানার সাত ছেলে ও দুই কন্যার মধ্যে সবচেয়ে স্নেহধন্য এ পুত্রকে তিনি আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে গেছেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর এ প্রিয় বান্দাহর মনোবাসনা পূর্ণ করে তাঁর সন্তানকে দেশের শ্রেষ্ঠতম ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে কবুল করেছেন। মরহুম মাওলানা আব্দুল আলী ছিলেন একজন জনদরদী নেতা ও ফরিদপুরের এমএনএ। ফরিদপুরের জেলা জামায়াতের আমীর হওয়ার সাথে সাথে তিনি সেখানকার প্রধান ঈদ জামাতের খতিব ও ইমাম ছিলেন। জামায়াতের আমীর হওয়ার কারণে স্বাধীনতার পর তাঁকে আটক করা হয়। অত্যন্ত উঁচু মানের আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় হওয়ার কারণে সে সময়ে মুক্তিযুদ্ধারাসহ সর্বস্তরের মানুষ তাঁর পেছনে নামায আদায়ের জন্য অবি...

আমি আল্লাহর এক গোলাম বলছি-

Avgvi cÖwZ Avjøvncv‡Ki ingZ †h Avgvi Rb¥ I †e‡o IVv GKUv Øxwb cwi‡e‡k n‡q‡Q Ges QvÎve¯’vq GKwU Øxwb msMV‡bi mvnPh© cvIqvq Avgvi c‡¶ cwi”Qbœ Rxeb-hvcb m¤¢e n‡q‡Q| Avjnvg`y wjjøvn| †m msMV‡bi j¶¨B n‡jv- ÔAvjøvn cÖ`Ë I im~j (mv.) cÖ`wk©Z c‡_ Rxe‡bi mvwe©K cybwe©b¨vm mvab K‡i Avjøvn Zvqvjvi mš‘wó AR©b|Ô G msMV‡b GKRb wk¶v_©x‡K cvuP Iqv³  nq Ges K¨vwiqvi MV‡bi j‡¶¨ ‰`wbK Kq N›Uv K‡i covïbv K‡i †m m¤ú‡K© `vwqZ¡kx‡ji Kv‡Q wn‡me w`‡Z nq| m‡e©vcwi w`b‡k‡l wb‡Ri Kv‡Ri ch©v‡jvPbv K‡i fv‡jv wKQy Ki‡Z cvi‡j Avjøvn Zvqvjvi `iev‡i ïKwiqv Ávcb I g›` wKQy n‡q †M‡j ¶gv cÖv_©bvi GKUv wk¶v `vb Kiv nq| d‡j G msMV‡bi Q‡K GKRb wk¶v_©x mn‡RB mr I †hvM¨ bvMwiK wn‡m‡e M‡o I‡V| evsjv‡`‡ki mKj wk¶v cÖwZôv‡b G msMV‡bi we¯Í…wZB cÖgvY K‡i ‡h, QvÎ-RbZvi Kv‡Q G msMVb MÖnY‡hvM¨Zv †c‡q‡Q Ges RvwZ G‡`i‡K wb‡q ¯^cœ †`‡L| †bkvi RM‡Z AvR GivB †Kej `vex Ki‡Z cv‡i †h, Zviv kZfvM †bkvgy³| AvPvi-AvPiY, Pvj-Pjb, †jb-†`‡b Bmjv‡gi ev¯Íe Abymi‡Yi Kvi‡Y Ab¨ †h †Kvb msMV‡bi Zyjbvq Zviv e¨wZµg| Avjnvg`y wjjøvn| Avjøvn Zvqvjvi...

আমি একজন শহীদ বলছি

c…w_ex‡Z _vK‡Z Avwg wek¦vm KiZvg †h gnvb Avjøvn Zvqvjvi mš‘wói j‡¶¨ Zvui c‡_ cÖ‡PóvKvix‡K hw` nZ¨v Kiv nq ev G Ae¯’vq hw` Kv‡iv ¯^vfvweK g…Z¨yI nq, Zvn‡j †m kvnv`‡Zi gh©v`v jvf Ki‡e Ges g…Z¨yi mv‡_ mv‡_ Zvi knx`x gh©v`v ïiæ n‡q hv‡e| †d‡ik&Zviv Zv‡K Awfev`b Rvbv‡Z _vK‡e| Avwg GKRb c~Y© Cgvb`vi wQjvg| Avwg wek¦vm KiZvg Avjøvni wKZve Avj KyiAvb I im~j (mv.)-Gi evYx‡K Ges Avwg †mLvb †_‡K †cÖiYv jvf KiZvg| Avwg KyiAvb gwR‡` c‡owQjvg-Ôhviv Avjøvni c‡_ wbnZ nq Zv‡`i‡K g…Z e‡jv bv, Zviv RxešÍ Zv‡`i Rxeb m¤ú‡K© †Zvgv‡`i †Kvb †PZbv †bB|Ô Avevi GI †R‡bwQjvg †h Zviv wiwRKcÖvß| Avi nvw`‡m G m¤ú‡K© KZ K_vB bv c‡owQjvg| Avgvi wcÖq gvZ…f~wg evsjv‡`‡ki GK ¯^bvgab¨ Kwe giûg diiæL Avng` KZ PgrKvifv‡eB bv e‡j‡Qb-                                Rxe‡bi †P‡q `xß g…Z¨y ZLbB Rvwb                        ...

ফেরাউন ও মুসা (আ.)

ফেরাউন ছিল একজন স্বৈরশাসক। বনী ইসরাঈলকে সে দাসে পরিণত করে রেখেছিল। সীমাহীন জুলুম-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। তার ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার জন্য বনী ইসরাঈলের পুত্র সন্তানদেরকে সে হত্যা করছিল। এ রকম একটি পরিবেশে মুসা (আ.)-এর জন্ম হয় এবং আল্লাহ তাঁকে ফেরাউনের ঘরেই লালন-পালন এবং সেখানে তাঁর মায়ের দুধ পানেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। এ সবই আল্লাহতায়ালার কুদরত। এক পর্যায়ে আল্লাহ মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে  দাওয়াত নিয়ে যেতে বলেন। মুসা (আ.) অতীতের কিছু ঘটনার জন্য তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন এবং তাঁর ভাই হারুনকে সাথে নেয়ার অনুমতি চান। আল্লাহতায়ালাকে একমাত্র রব ও ইলাহ হিসেবে মেনে নেয়ার জন্য ফেরাউনকে দাওয়াত প্রদান করলে জবাবে ফেরাউন বলে-‌ ’ তুমি যদি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে মা ’ বুদ বলে মেনে নাও , তাহলে কারাগারে যারা পচে মরছে তোমাকেও তাদের দলে ভিড়িয়ে দেবো। ‘ মুসা (আ.) বলেন- ‘ আমি যদি তোমার সামনে একটি সুস্পষ্ট জিনিস আনি তবুও। ‘ ফেরাউন বলে- ‘ বেশ , আনো যদি তুমি সত্যবাদী হও। ‘ এ কথার প্রেক্ষিতে মুসা (আ.) তাঁর হাতের লাঠিটা নিক্ষেপ করলে সেটা একটি অজগর হয়ে পড়ে এবং হাত বগলের মধ্...

আমি বড় একা, পাশে কেউ নেই

                                       আমি যখন পৃথিবীতে ছিলাম তখন আমি আমার পরিবার, আমার দল, সমাজ ও রাষ্ট্র সবার কাছেই আমি ছিলাম অপরিহার্য। আমার স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-পতিবেশি, অফিসের লোকজন আমাকে ছাড়া কোন কিছু ভাবতেই পারতো না। আমার দল আমাকে নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখতো। আমি চতুর্দিকে শুধুই প্রশংসা শুনতাম। কিন্তু যেদিন আমার রুহটা বেরিয়ে গেল সেদিন থেকে আমি মূল্যহীন। সবাই ব্যস্ত হয়ে উঠলো কত দ্রুত দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা যায়। সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজন দ্রুত আমাকে ঘর থেকে বের করে আনলো। আমার স্ত্রী যার সঙ্গে সুদীর্ঘকাল একত্রে বসবাস করেছি, আমাকে আর আমার বিছানায় রাখতে চাইলো না। দ্রুত গোসলের মাধ্যমে জানাযার জন্য প্রস্তুত করা হলো। আমার নিজের ও দলের জনপ্রিয়তা জাহির করার জন্য বিশাল ময়দানে জানাযার ব্যবস্থা করা হলো। অনেক জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা আমার প্রশংসা করে বক্তৃতা করলো। তারপর দাফন-কাফন শেষে সবাই আমার কাছ থেকে বিদায় নিল। শুরু হলো আমার জবাবদিহিতা। আমি লা জবাব। ফেরেশ্তাদের হাতুড়ীপ...

আমার আব্বা : একজন দায়ী ইলাল্লাহ

আমার আব্বা মরহুম মো. লুৎফর রহমান ১৯৩২ সালের ১ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত ভেড়ামারা থানার অধীন গাছিয়া দৌলতপুর গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হারান প্রামাণিক ও মাতার নাম রজদা খাতুন। তিনি চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় বেশ বিলম্বে তাঁকে পার্শ্ববর্তী ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ফলে সার্টিফিকেটের বয়সের তুলনায় তাঁর বয়স একটু বেশিই হবে। ধর্মপ্রাণ দরিদ্র পিতা ছেলেকে আলেম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরবর্তিতে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। তিনি ১৯৪৮ সালে বগুড়া থেকে প্রথম বিভাগে হাই মাদ্রাসা (এসএসসি সমমান) পাস করেন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তাঁর আর প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। তিনি ১৯৪৮ সালে বাহাদুরপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৯ সালে ইসলামপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদ সরদারের দ্বিতীয় কন্যা তোহুরা খাতুনের সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫১ সালে পিটিআই পাস করেন। মাদ্রাসা থেকে পাস করলেও স্কুলে তিনি ছিলেন মূলত একজন ইংর...

মু. আব্দুল ওয়াহেদ-দ্বীনের তরে নিবেদিতপ্রাণ আল্লাহর এক গোলাম

মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ আমার একজন ঘনিষ্ট বন্ধু। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে আমরা একই সাথে ১৯৭৫ সনে অর্থনীতিতে অনার্স ও ১৯৭৬ সনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করি। তিনি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। গত ২২/০৩/২০১৫ তারিখ রবিবার বাদ ফজর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। খুব ঘনিষ্টভাবে আব্দুল ওয়াহেদ ভাইকে দেখার ও জানার সুযোগ আমার হয়েছিল। অনার্স পরীক্ষা দেয়ার পূর্ব দিয়ে আমরা কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের পেছনে এক টি মেসে উঠি এবং আমরা পরস্পর Roommate ছিলাম। আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবক্স হলেও আমরা দু ' জন একই কক্ষে থাকতাম। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত নম্র , ভদ্র , বিনয়ী ও আল্লাহর দ্বীনের প্রতি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর কণ্ঠ ছিল খুবই মধুর। সহীহ শুদ্ধ করে কুরআন তেলাওয়াত করতেন এবং গান গাইতেও পারতেন। তিনি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করতেন। যদিও তিনি একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান , তারপরও তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্নতা ফুটে উঠতো। তিনি খুব যত্ন করে ওযু করতেন। ওযু করার সময় তাঁর কাঁধে একটা গ...