মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাঈফ তারাবি পূর্ব কিছু কথা বলেন। তার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ।
পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি হাদিস উদ্ধৃত করে বলেন রমজান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। ফলে পৃথিবীতে বিরাজ করে এক পবিত্র পরিবেশ এবং তার ফলশ্রুতিতে মসজিদে মুসল্লিদের এই আধিক্য। রমজানের পরেও নামাজ না ছেড়ে আরো একাগ্র হওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান এবং দোয়া করেন।
মসজিদের আদব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহর ঘরে প্রবেশের পরপরই হাতে সময় থাকলে দুই রাকাত নামাজ পড়ে সাথ সাথে বসে পড়া মসজিদের আদব। দাঁড়িয়ে থাকা আদবের খেলাপ। রসুলল্লাহ সা.-এর ঘর ছিল মসজিদের সাথে লাগোয়া। তিনি ঘর থেকে বের হয়ে মেহরাবের কাছে আসার পর বিলাল রা. আজান দিতেন এবং সাহাবিরা রা. দাঁড়িয়ে যেতেন। মসজিদে নীরবে বসে থাকাও ইবাদত এবং তাতে সওয়াব রয়েছে। তাই দাঁড়িয়ে না থেকে বা গল্প গুজব না করে চুপ থাকার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
তারবির রাকাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর যুগ থেকেই তারাবি বিশ রাকাত পড়ে আসা হচ্ছে এবং এটিই সুন্নাত। পবিত্র মক্কা ও মদিনায় শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিশ রাকাত পড়ে আসছে। বয়স ও নানা কারণে কেউ কম বেশি করতে পারে। রমজান মাসে নফলের সওয়াব ফরজের মতো। তাই মানুষ বেশি বেশি নামাজ আদায় করে থাকে।
মসজিদের আদব সর্বদা রক্ষা করে চলার জন্য তিনি তাঁর মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানান।
Comments
Post a Comment