Skip to main content

স্বাগত মাহে রমজান

আজকে তারাবি পড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হলো রমজানুল মুবারক। মুসল্লিতে মসজিদ পরিপূর্ণ। আশেপাশে লক্ষ করলাম তরুণ ও যুব শ্রেণির আধিক্য। নামাজ শুরু হলো ৮-১৫ এবং শেষ হলো ৯-৫০ মি.। মনে হলো ২/১ জন বাদে সবাই ২০ রাকাত নামাজ আদায় করলো। এসব নিয়ে বিতর্ক না করে আমরা মানুষকে মসজিদে আসার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করি।


যারা রমজান মাসে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবি পড়বে আশা করা যায় তারা গুনাহ মুক্ত হয়ে নতুন জীবন লাভ করবে। এব্যাপারে সুস্পষ্ট হাদিস রয়েছে। হাদিসটি এমন যারা ঈমান ও এহতেসাবের সাথে রোজা পালন করবে আল্লাহ তাদের অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। আবার তারাবি সম্পর্কেও একই ভাষায় বলা হয়েছে যারা রাতে দণ্ডায়মান হবে তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। একটি বড় সুযোগ।

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে চান। শাস্তি দিয়ে তাঁর কোনো লাভ নেই। বাবা-মা কি তাদের সন্তানকে শাস্তি দিতে চান? কক্ষণো নয়। আল্লাহ তো তাদের চেয়েও আরও দয়ার্দ্র। শাস্তি দেয়ার জন্য তিনি বাহানা তালাশ করবেন না। এটি তাঁর শানে মানায় না।

আমার উপলব্ধি হলো কেবল জালেমরাই আটকে যাবে। সবচেয়ে বড় জালেম হলো মুশরিক (আল্লাহর অধিকার হরণকারী) এবং এর পরে বান্দার হক নষ্টকারী। হক আদায় পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে এবং এর পরে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে। একটি হাদিস আমরা স্মরণ করি - তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। আবার বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম যে তার অধীনস্হদের নিকট উত্তম।

আসুন, আমরা ক্ষমার চর্চা পরিবার থেকে শুরু করি। বাসায় কাজের লোকদের কাজ হালকা করি এবং অফিস ও কলকারখানাতেও। উত্তম ব্যবহারের চেয়ে ওজনদার আমল আর নেই। জান্নাত প্রাপ্তি খুব কঠিন নয়। জান্নাত রয়েছে সদাচরণ ও ক্ষমার মধ্যে। আল্লাহ তায়ালা এই রমজানে রোজা পালনের মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments