Skip to main content

রোজা কি অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে না?

আল্লাহপাক রোজা ফরজ করেছেন তাঁর বান্দাদের পবিত্র-পরিচ্ছন্ন ও গুনাহ থেকে মুক্ত এবং ক্ষমার মধ্য দিয়ে জান্নাতে পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমরা কী দেখছি? মারামারি সেতো কল্পনাতীত, একটু ঝগড়াঝাটিও করা যায় না। হাদিসে বলা হয়েছে, কেউ যদি ঝগড়া করতে আসে সে শুধু বলবে- ভাই, আমি রোজাদার। অথচ গতকাল যা হয়ে গেল তা কোনো মুসলমানের কাজ নয়। ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র। আহত হওয়ার সাথে সাথে একজন নিহতও হলো।


দুই পক্ষের বিবাদে কেউ যদি মারা যায় তাহলে রসুলল্লাহ সা. বলেছেন, নিহত ব্যক্তি ও হত্যাকারী দুজনই জাহান্নামি। হত্যাকারী জাহান্নামি- বুঝলাম, কিন্তু নিহত ব্যক্তি? রসুলল্লাহ সা. বলেন, সুযোগ পেলে সেও হত্যা করতে পারতো। অবশ্য এখানে বিষয়টি স্বতন্ত্র। শুনেছি, নিহত ব্যক্তি পথচারী। রসুলল্লাহ সা. বলতে চেয়েছেন, একজন মুসলিম কখনই মারামারি ও ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হতে পারে না।

মনে হচ্ছে, জাতি হিসেবে আমরা যেন বিশ্বাস বিবর্জিত হয়ে পড়ছি। আমাদের ব্যবহারিক জীবন অর্থাৎ আচার- আচরণ ও লেনদেনে ইসলামের কোনো প্রতিফলন নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত কোথাও ইসলাম নেই। রাজনীতির অঙ্গন যেন আরো কদর্যপূর্ণ। হিংসা- বিদ্বেষ-ঘৃণা এমনভাবে পেয়ে বসেছে যেন ভবিষ্যতে কবরস্থানও আলাদা করতে হবে। এর প্রভাব জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে। ক্ষমা, সহনশীলতা, উদারতা সবই বিদায় নিয়েছে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্র্য সম্প্রীতির কোনো লেশ নেই। ফলে শান্তি-স্বস্তি থেকে আমরা বঞ্চিত।

আমাদের নামাজ ও রোজা সবই যেন উদ্দেশ্য বিবর্জিত লোক দেখানো। নামাজ আর আমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করে দেয় না এবং রোজাও আল্লাহর ভয় জাগ্রত করে না। আল্লাহর স্মরণ ও ভয় থাকলে অবশ্যই কর্মজীবনে তার প্রতিফলন ঘটতো। রমজানের এই শেষাংশে আল্লাহর কাছে আমাদের বিনীত প্রার্থনা, হে আমাদের রব! অতীতের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করো এবং তোমার পথে নতুনভাবে চলার তৌফিক দান করো। আমিন।

Comments