Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2022

রোজা কি অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে না?

আল্লাহপাক রোজা ফরজ করেছেন তাঁর বান্দাদের পবিত্র-পরিচ্ছন্ন ও গুনাহ থেকে মুক্ত এবং ক্ষমার মধ্য দিয়ে জান্নাতে পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমরা কী দেখছি? মারামারি সেতো কল্পনাতীত, একটু ঝগড়াঝাটিও করা যায় না। হাদিসে বলা হয়েছে, কেউ যদি ঝগড়া করতে আসে সে শুধু বলবে- ভাই, আমি রোজাদার। অথচ গতকাল যা হয়ে গেল তা কোনো মুসলমানের কাজ নয়। ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র। আহত হওয়ার সাথে সাথে একজন নিহতও হলো। দুই পক্ষের বিবাদে কেউ যদি মারা যায় তাহলে রসুলল্লাহ সা. বলেছেন, নিহত ব্যক্তি ও হত্যাকারী দুজনই জাহান্নামি। হত্যাকারী জাহান্নামি- বুঝলাম, কিন্তু নিহত ব্যক্তি? রসুলল্লাহ সা. বলেন, সুযোগ পেলে সেও হত্যা করতে পারতো। অবশ্য এখানে বিষয়টি স্বতন্ত্র। শুনেছি, নিহত ব্যক্তি পথচারী। রসুলল্লাহ সা. বলতে চেয়েছেন, একজন মুসলিম কখনই মারামারি ও ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হতে পারে না। মনে হচ্ছে, জাতি হিসেবে আমরা যেন বিশ্বাস বিবর্জিত হয়ে পড়ছি। আমাদের ব্যবহারিক জীবন অর্থাৎ আচার- আচরণ ও লেনদেনে ইসলামের কোনো প্রতিফলন নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত কোথাও ইসলাম নেই। রাজনীতির অঙ্গন যেন আরো কদর্যপূর্ণ। হিংসা- বিদ্বেষ-ঘৃণা এমনভাবে পেয়ে বসেছে যেন...

আমরা আমাদের রোজাকে অর্থবহ করি

ক্ষমার বারতা নিয়ে হাজির হয়েছিল রমজানুল মুবারক। রসুলল্লাহ সা. বলেছেন, হতভাগা সে যে রমজান পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো না। তিনি আরো বলেন, রোজা রেখে যে মিথ্যা, পরনিন্দা ও পাপাচার ছাড়তে পারলো না তার রোজা রাখায় আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই। না খেয়ে থাকার নাম রোজা নয়। আল্লাহর নাফরমানি থেকে দূরে থাকার নামই রোজা। রমজানে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি। কেন থাকি? এককথায় এর জবাব, আল্লাহর নিষেধ। তেমনি আল্লাহর নিষেধ - মিথ্যা বলা, গিবত করা, হিংসা করা সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। এসব গুনাহ না ছাড়তে পারলে রোজা রাখা অর্থহীন হয়ে পড়বে। গিবত করতে খুব মজা লাগে। কিন্তু গিবতকারী জানে না, সে যার গিবত করছে তার নেকির পাল্লাকেই ভারি করছে অথচ সে নিজে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। নিরেট বোকা ছাড়া কেউ কারো গিবত করতে পারে না। জাতীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে আমরা গিবত ছাড়তে পারছি না। এর কারণ হিংসা-বিদ্বেষ। হিংসুকের জন্য লাইলাতুল কদর নেই। প্রতিনিয়তই মৃত্যু দেখছি। অথচ আমরা কতো গাফেল! আগামী রমজান পাবো, কোনো নিশ্চয়তা নেই? সবকিছু রেখে শূন্য হাতে বিদায় নিতে হবে। সুযোগ ছিল নিজের গুনাহ মাফ করে নেয়ার। আমরা এখন রমজানের শেষ দশকে। আল্লাহপ...

শুরু হলো রমজানের শেষ দশক

আজ ২১ রমজান। এতেকাফের নিয়তে আল্লাহপাকের অনেক বান্দা সংসার থেকে নিজেকে পৃথক করে নিয়ে মসজিদে আবদ্ধ করে নিয়েছেন। ভাগ্যবান তাঁরা। রসুল সা. রমজানের শেষ দশকে শবে কদর তালাশ করতে বলেছেন। আবার কখনো বলেছেন বেজোড় রাত্রে তালাশ করতে। রাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ (রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান এককথায় সর্বেসর্বা) আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. এই শেষ দশকে কোমরবেঁধে লেগে পড়তেন ইবাদত-বন্দেগির কঠোর শ্রমে। কারণ এ মাসেই তো রয়েছে মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর। নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে নেয়ার এ এক অপূর্ব সুযোগ। সবকিছু ছেড়ে দশটি রাত তিনি আল্লাহর ঘরে আশ্রয় নিতেন এবং আমাদের বিল্ডিংয়ের মসজিদে আটজন ভাই এবছর এতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করছেন। আলহামদু লিল্লাহ। আসুন, আমরাও এই রাতগুলোকে একটু কাজে লাগাই। নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত ও নানাবিধ উপায়ে আল্লাহর স্মরণে কাটাই এবং আমার সকল প্রয়োজন তাঁরই কাছে পেশ করি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। শর্ত হলো আপনাকে শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত হতে হবে। এই রাতগুলোতে কেউ যদি কোনো বাড়তি ইবাদত নাও করে কিন্তু নিজেকে শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত ...
  স্বাগত ১৪২৯ আজ ১ বৈশাখ। বাঙলা নববর্ষে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বছরের শুরুতে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট কামনা করি- আমাদের মাঝ থেকে দূর হয়ে যাক হিংসা-বিদ্বেষ ও অতীতের সকল গ্লানি এবং জীবন শুরু হোক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও সুধারণার মধ্য দিয়ে। বর্ষবরণ সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে। বাঙালি কৃষক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাঙলা সনের আবেদন সুদূর অতীত থেকে চলে আসছে। কৃষকের কাছে এটি ফসলী সন। জমি চাষ, বীজ বপনসহ নানা কাজে তারা বাঙলা সন তারিখ গণনা করে। ১ বৈশাখ গ্রামবাংলার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ছিল উৎসবের। দোকানে দোকানে চলতো হালখাতা ও খরিদদারকে মিষ্টিমুখ করার ব্যবস্থা। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পুরাতনকে বিদায় দিয়ে ঝকঝকে নতুন খাতায় নবযাত্রা শুরু হতো। কিন্তু গ্রামে নববর্ষের সেই আমেজ আর নেই। শহরে নানা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। আনন্দ-স্ফূর্তি ও বিনোদন জীবনেরই অংশ। এখানেও প্রত্যেকের বিশ্বাস ও কৃষ্টি-কালচারের প্রতিফলন ঘটে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে দেশীয় আচার- অনুষ্ঠান ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। আপত্তি সেখানে যদি কোনো আচার অনুষ্ঠানে শিরক, নগ্নতা ও অশ্লী...

রমজানের অর্ধেক চলে গেল

হিসাব মেলানো দরকার। শুধু কি গতানুগতিক? না, কিছু পরিবর্তন আনতে পেরেছি। সহানুভূতি প্রকাশের মাস, দয়া ও অনুগ্রহ দেখানোর মাস। জান্নাত প্রাপ্তির সহজ উপায় হলো আল্লাহর বান্দাদেরকে ক্ষমা করা ও তাদের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া। আসুন, আমরা আমাদের গৃহ, অফিস-আদালত ও কলে-কারখানায় অধীনস্হদের কাজ হালকা করে দেই, তাদের প্রতি দয়ার্দ্র হই ও ক্ষমা করে দেই। তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আবার বলা হয়েছে তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার অধীনস্থদের কাছে উত্তম। দৈনিক সত্তুর বার হলেও তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দাও। অনেক হতভাগা আছে যারা সবসময় অধীনস্হদের ভয়ের মধ্যে রাখে, শাস্তি দেয়ার জন্য ওঁত পেতে বসে থাকে। আল্লাহর ক্ষমা তাদেরই জন্য যারা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে জানে। জান্নাতের প্রত্যাশা তারাই করতে পারে যারা উদার ও প্রশস্ততার অধিকারী। কর্কশভাষী ও পাষাণ হৃদয়ের অধিকারীরাই মানুষের প্রতি জুলুম করে থাকে। এরা সত্যিই হতভাগা। আল্লাহপাক উদার। শাস্তি দানের ক্ষেত্রে তাঁর কোনো তাড়াহুড়ো নেই। ক্ষমা করার মধ্যেই তাঁর যতো আনন্দ। শাস্তি দিতে চাইলে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। আসুন, আমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত ...
  জুমা আলোচনা (বাইতুল আহ্ছান জামে মসজিদ, পশ্চিম কাজিপাড়া) ০১.০৪.২০২২ ফজিলতের মাস রমজানুল মোবারক বাইতুল আহ্ছান জামে মসজিদ, পশ্চিম কাজিপাড়া (বাইশবাড়ি), মিরপুর-এর সম্মানিত খতিব হাফেজ মাওলানা আনিসুর রহমান আজকের খুতবায় আল্লাহ তায়ালার হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে পুরো সময়টা আলোচনা করেন। তিনি সুরা বাকারার ১৮৩-১৮৪ আয়াত তেলাওয়াত ও ব্যাখ্যা করেন এবং রোজা ও তারাবিহ সম্পর্কীয় অনেক হাদিস উদ্ধৃত করেন। খতিব মহোদয় বলেন, রামাদান শব্দের অর্থ জ্বলিয়ে দেয়া, পুড়িয়ে দেয়া এবং রমজানের রোজা মানুষের গুনাহ জ্বলিয়ে তাকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। এই রোজা শুধু আমাদের উপরই নয় আল্লাহর পক্ষ থেকে যতো শরিয়ত আসছে সবার প্রতি ফরজ ছিল। এখনো বিভিন্ন ধর্মাবলম্বির মধ্যে রোজা পালনের রেওয়াজ চালু রয়েছে। রোজা রাখার উদ্দেশ্যও আল্লাহ তায়ালা ব্যক্ত করেছেন। সেটি হলো রোজা রাখার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি হবে। আল্লাহপাক মুত্তাকি বান্দার জন্য তৈরি করেছেন অসংখ্য নেয়ামতেভরা জান্নাত। মুত্তাকি ব্যক্তি অর্থ যিনি সর্বক্ষণ আল্লাহকে ভয় করে চলেন এবং তাঁর নাফরমানি থেকে দূরে থাকে...

মসজিদের আদব

মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাঈফ তারাবি পূর্ব কিছু কথা বলেন। তার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ। পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি হাদিস উদ্ধৃত করে বলেন রমজান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। ফলে পৃথিবীতে বিরাজ করে এক পবিত্র পরিবেশ এবং তার ফলশ্রুতিতে মসজিদে মুসল্লিদের এই আধিক্য। রমজানের পরেও নামাজ না ছেড়ে আরো একাগ্র হওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান এবং দোয়া করেন। মসজিদের আদব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহর ঘরে প্রবেশের পরপরই হাতে সময় থাকলে দুই রাকাত নামাজ পড়ে সাথ সাথে বসে পড়া মসজিদের আদব। দাঁড়িয়ে থাকা আদবের খেলাপ। রসুলল্লাহ সা.-এর ঘর ছিল মসজিদের সাথে লাগোয়া। তিনি ঘর থেকে বের হয়ে মেহরাবের কাছে আসার পর বিলাল রা. আজান দিতেন এবং সাহাবিরা রা. দাঁড়িয়ে যেতেন। মসজিদে নীরবে বসে থাকাও ইবাদত এবং তাতে সওয়াব রয়েছে। তাই দাঁড়িয়ে না থেকে বা গল্প গুজব না করে চু...

প্রথম রমজানেই আল্লাহর ক্ষমা অর্জন করে নেই

সব ওয়াক্তেই মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ। আসলে শয়তান শৃঙ্খলিত। আল্লাহর বান্দাদের মসজিদে ভীড় দেখে সে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছে। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে চান যা শয়তানের বড় অপছন্দ। হ্যাঁ আল্লাহ ক্ষমা করবেন। করবেন না শুধু মুশরিক ও হিংসুককে। মুশরিক সেই যে ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু চায়। আমরা একনিষ্ঠভাবে ইসলামে নিজেকে সমর্পণ করে দেই। আল্লাহ আমাদের প্রভু। জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁকে মেনে চলি। দ্বিতীয়ত হিংসা একেবারে ঝেড়ে ফেলি। আমাদের মারামারি হানাহানির মূলে রয়েছে হিংসা। হিংসা ত্যাগ না করলে ক্ষমা নেই। হিংসা শুধু কবিরা গুনাহ নয়, অতীতের নেক আমলও ধ্বংস করে দেয়। রসুলল্লাহ সা. বলেছেন, আগুন যেমন শুকনা কাঠকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় তেমনি হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহপাক সুরা ফালাকে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করতে বলেছেন। আসুন, আমরা নিজেরা তওবা করি এবং আল্লাহর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেই ও তাদের কল্যাণকামী হয়ে যায়। তাহলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন এবং তখনই আমাদের রোজা ফলপ্রসু হবে।

স্বাগত মাহে রমজান

আজকে তারাবি পড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হলো রমজানুল মুবারক। মুসল্লিতে মসজিদ পরিপূর্ণ। আশেপাশে লক্ষ করলাম তরুণ ও যুব শ্রেণির আধিক্য। নামাজ শুরু হলো ৮-১৫ এবং শেষ হলো ৯-৫০ মি.। মনে হলো ২/১ জন বাদে সবাই ২০ রাকাত নামাজ আদায় করলো। এসব নিয়ে বিতর্ক না করে আমরা মানুষকে মসজিদে আসার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করি। যারা রমজান মাসে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবি পড়বে আশা করা যায় তারা গুনাহ মুক্ত হয়ে নতুন জীবন লাভ করবে। এব্যাপারে সুস্পষ্ট হাদিস রয়েছে। হাদিসটি এমন যারা ঈমান ও এহতেসাবের সাথে রোজা পালন করবে আল্লাহ তাদের অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। আবার তারাবি সম্পর্কেও একই ভাষায় বলা হয়েছে যারা রাতে দণ্ডায়মান হবে তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। একটি বড় সুযোগ। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে চান। শাস্তি দিয়ে তাঁর কোনো লাভ নেই। বাবা-মা কি তাদের সন্তানকে শাস্তি দিতে চান? কক্ষণো নয়। আল্লাহ তো তাদের চেয়েও আরও দয়ার্দ্র। শাস্তি দেয়ার জন্য তিনি বাহানা তালাশ করবেন না। এটি তাঁর শানে মানায় না। আমার উপলব্ধি হলো কেবল জালেমরাই আটকে যাবে। সবচেয়ে বড় জালেম হলো মুশরিক (আল্লাহর অধিকার হরণকারী) এবং এর পরে বান্দার হক নষ্টকারী। হক আদায় পরি...