Skip to main content

মসজিদ উত তাকওয়া : আমার দেখা সেরা মসজিদসমূহের অন্যতম।

 গত শুক্রবার জুমা আদায় করলাম কাঁটাবন মসজিদে এবং এশা পড়লাম মসজিদ উত তাকওয়ায়। মসজিদটি ধানমন্ডি লেকের পাড়ে মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত। এর নির্মাণশৈলী অপূর্ব ও দৃষ্টিনন্দন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে মসজিদ কমিটি ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়। তাদের জাকাত ফান্ড থেকে বহুবিধ সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। লাশ গোসল ও কাফন, হিফযখানা (২০ জন ছাত্র), নুরানি (১৫ জন ছাত্র), এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, এম্বুল্যান্স সার্ভিস, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুস্থ মানুষকে সহায়তা করেন। সেখানকার মানুষ উদারহস্তে সহযোগিতাও করেন। সেদিনের জুমায় আদায় হয়েছে ১,৮২,৫৫০/- টাকা।


গত শুক্রবার (শবে বরাতের রাত) এশার নামাজ আদায়ে ১৫ মিনিট আগে ৮-০০ উপস্থিত হয়ে দেখি মসজিদ প্রায় পূর্ণ। ইমাম সাহেব ঘোষণা দিলেন পাঁচ তলা পর্যন্ত নামাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পরের দিন ফজরের সালাতেও দেখলাম মসজিদ প্রায় পূর্ণ তবে রাতের মতো নয়। যারা এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করলেন তারাতো সারাটি রাতই ইবাদতের মাঝে অতিবাহিত করলেন। এরা সত্যিই ভাগ্যবান।

ঐদিন ছিল হিফজ সম্পন্নকারী চারজন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান। তাদের পিতাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমরা তাদের সুললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত শুনলাম। তন্মধ্যে একজন ধানমন্ডির ছাত্র ছিল। নগদ অর্থ ও প্রচুর উপঢৌকন দেয়া হলো। মসজিদ কমিটি ছাড়াও সাধারণ মুসল্লি বেশ এগিয়ে আসলেন। মসজিদ কমিটি উচ্চ শিক্ষার জন্য সেসব ছাত্রদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেন। চমৎকার একটি প্রোগ্রাম উপভোগ করলাম। আলহামদু লিল্লাহ।

মুয়াজ্জিন সাহেব সুরা ফাতিহার কাব্যানুবাদ গজলের সুরে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। এরপর ইবনে মাজা থেকে একটি হাদিস তিনি পেশ করেন যেখানে বলা হয় এই রাতে মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করা হবে। শেষে মসজিদের প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ তওবা করে পরিশুদ্ধ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। তওবার শর্ত হলো- গুনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া, গুনাহ ছেড়ে দেয়া ও গুনাহের পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া এবং কারো হক নষ্ট হলে তা ফেরত দেয়া।

আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে তাঁর পথে চলাটা সহজ করে দিন। আমিন।

Comments