বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
ঠাকুর
দৌলতপুর গ্রামে একটি সুন্দর জামে মসজিদ গড়ে তোলায় এর জমিদাতা, উদ্যোক্তা ও
সহায়তাকারীদের বক্তৃতার শুরুতে প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন
এবং এই মসজিদকে ছদকায়ে জারিয়া ও হেদায়াতের কেন্দ্র হিসেবে কবুল করার জন্য আল্লাহর
কাছে দোয়া করেন। ঈদোত্তর প্রথম জুমায় তিনি মুসলমানদের ঈদ উদযাপন এবং রমযানের
শিক্ষার আলোকে নিজেদের চরিত্র গঠন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
মুসলমানদের
জীবনে দু'টি আনন্দোৎসব- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এর বাইরে কোন ঈদ নেই। প্রত্যেক
ধর্মাবলম্বীর মাঝে ঈদ (আনন্দোৎসব) আছে এবং সেটা তাদের ধর্মগুরুদের সংশ্লিষ্ট করে।
যেমন খ্রীষ্টানদের বড় দিন যীশুখ্রীষ্ট বা হযরত ইসা (আ)-এর জন্মদিন, বুদ্ধপূর্ণিমা
(গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন), জন্মাষ্টমী (শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন)। কিন্তু আমাদের দু’টি ঈদ সম্পূর্ণ বিপরিত। এর সাথে আমাদের প্রিয়তম নবী (সা)-এর কোন
সংশ্লিষ্টতা নেই; না তাঁর জন্মদিন, না হিজরত আর না মক্কা বিজয়। ঈদুল ফিতর হলো রোযা
ভাঙ্গার আনন্দ, গুনাহমাফের আনন্দ এবং ঈদুল আযহা হলো মুসলিম জাতির পিতা ও তাঁর
পরিবারের চরম আত্মত্যাগ স্মরণ। আমাদের ঈদের প্রধান করণীয় হলো ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে
দু’রাকাত নামায আদায় ও
তাকবীর পাঠ। আমরা কখনই আল্লাহকে ভুলে থাকতে পারি না। ইসলামে কোন ব্যক্তিপূজা বা
সৃষ্টিপূজা নেই। রসুল (সা)-এর নেতৃত্বে মক্কাবিজয় সংঘটিত হয়। এত বড় বিজয়ে কোন
বিজয়োল্লাস বা আনন্দোৎসব নেই। বরং বলা হলো আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসলো এবং রসুল
(সা)-কে বলা হলো বেশি বেশি করে তাঁর তাসবিহ পাঠ ও মাফ চাইতে (সূরা নছর)। কোন
গর্ব-অহঙ্কার নেই, নিজের বড়ত্ব জাহির নয় বরং আল্লাহর কাছে নিজের বিনয় প্রকাশের
লক্ষ্যে সর্বক্ষণ তাওবা-ইস্তেগফারে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেন।
কুরআন
মজিদ খুললেই প্রথম যে বাক্যটি আমাদের চোখে পড়ে সেট হলো ‘আলহামদু লিল্লাহ’- প্রশংসা
আল্লাহর জন্য এতটুকু নয়, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এ কথা দ্বারা সৃষ্টিপূজা ও
ব্যক্তিপূজার মূলোৎপাটন করে দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি বা সৃষ্টির মাঝে যে গুণ, ক্ষমতা
তা সবই আল্লাহর দান। ছেলে ভালো রেজাল্ট করলে বা বড় কিছু কারো দ্বারা সংঘটিত হলে
আমরাও বলে থাকি আলহামদু লিল্লাহ। ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ও শ্রদ্ধেয়
এবং যিনি খুব স্বল্প সময়ে এক অসাধ্য সাধন করে সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটান তিনি হলেন
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াস সাল্লাম। অথচ মুসলমানরা কখনই জয়
মুহাম্মদ বা মুহাম্মদ জিন্দাবাদ উচ্চারণ করেনি। কেবলই আল্লাহু আকবার (আল্লাহর
শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্ব, মহানত্ব) তাদের মুখে উচ্চারিত হয়েছে ও হয়। আল্লাহ নবী-রসুল
পাঠিয়েছেন মানুষকে তাঁর গোলাম বানানোর জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, তাঁদের
অনুপস্থিতিতে মানুষ আল্লাহকে ভুলে তাঁদেরই পূঁজা-অর্চনা শুরু করে দিযেছে। আমাদের
প্রিয়তম নবী (সা) এ ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। তাঁর কবরকে কেন্দ্র করে
মেলাবসানো বা সেটাকে সেজদার জায়গা বানানোর ব্যাপারে তিনি বড় সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
সউদী সরকার ও জনগণ সেটা রক্ষা করতে এখনো সক্ষম রয়েছে কিন্তু উপমহাদেশ ও আরো কিছু
দেশে কবরকেন্দ্রিক যা কিছু হয় তা শিরক-বিদয়াত বৈ আর কিছু নয়।
প্রশ্ন
উঠতে পারে আমরা কিভাবে তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবো। হ্যাঁ, সেটাও আমাদের
শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। রসুল (সা)-এর নাম উচ্চারণ হওয়ার সাথে আমরা ভক্তিতে গদগদ হয়ে
তাঁর প্রতি দরুদ পড়ে থাকি এবং আমাদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। রসুল (সা) জিবরাইল
(আ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, যার সম্মুখে আমার নাম উচ্চারিত হলো অথচ দরুদ পড়লো না
সে যেন ধ্বংস হয় এবং হাদিসে এমন ব্যক্তিকে কৃপণ বলা হয়েছে। ছাহাবায়ে কেরামদের নাম
উচ্চারণের সাথে সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু (রা) এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রহমাতুল্লি
আ’লা (রহ) পড়া সবই ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রকাশক।
মানুষের
সাথে সদাচরণ ও সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইসলামে জোর তাগিদ রয়েছে এবং সদাচরণের বড়
হকদার হলেন আপন পিতা-মাতা। আল্লাহ বলেছেন, তাঁরা বার্ধক্যে পৌঁছলে তাঁদের সাথে উহ্
শব্দটিও উচ্চারণ করো না। আব্বা-আম্মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে হাত কাঁপে। কাঁচের গ্লাসটি
হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেলে আহ্ কী করলেন বলা যাবে না। সব সময় তাঁদের প্রতি নত হয়ে
থাকতে হবে এবং বিনয়ের সাথে কথা বলতে হবে।
রসুল
(সা) একদিন মিম্বরে আরোহন করেন আর আমিন আমিন বলেন। সাহাবায়ে কেরাম আমিন আমিন বলার
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইমাত্র জিবরাইল (আ) বলে গেলেন, যে ব্যক্তি বৃদ্ধ
পিতামাতাকে পেল অথচ তাদের খেদমত করে জান্নাতে যেতে পারলো না সে যেন ধ্বংস হয়, আমি
বললাম 'আমিন'। আমাদের অনেকের বাবা-মা জীবিত আছেন। তাঁরা আমাদের জান্নাত। তাঁদের
সাথে সদাচরণের মাধ্যমে জান্নাতপ্রাপ্তি আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। পিতামাতা মারা
গেলে তাদের জন্য দোয়া করার ভাষাও তিনি শিখিয়ে দিয়েছেন। রাব্বির হামহুমা কামা
রাব্বা ইয়ানি ছগিরা। সন্তানের দোয়া কখনই ব্যর্থ হতে পারে না। মৃত্যুবার্ষিকী পালন
নয়, পিতামাতার মাগফেরাতের জন্য সার্বক্ষণিক দোয়া ও দান-সদকা করতে হবে।
শুধু
পিতা-মাতাই নন সকল মানুষের সাথে সদাচরণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী,
অধীনস্থ, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি-অমুসলিম সবাই সদাচরণের দাবীদার। মানুষ
আল্লাহর প্রতিনিধি। সকল সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। আমার পরিবারের কারো সাথে কেউ
দুর্ব্যবহার করলে নিশ্চয়ই আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবো না। তাই আল্লাহর বান্দাদের
সাথে অসদাচরণ করলে আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হন। সূরা হুমাযায় আল্লাহ নিজেই বলেছেন,
‘নিশ্চিত ধ্বংস তাদের জন্য যারা মানুষকে সামনা-সামনি গালাগাল ও পেছনে দোষ প্রচার
করে’ এবং পরবর্তিতে তাদের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তাদের হুতামায় নিক্ষেপ করা
হবে। আর হুতামার ভয়াবহতা ও আল্লাহর ক্রোধ প্রকাশে বলা হয়েছে ‘তা আল্লাহর আগুন,
প্রচন্ডভাবে উত্তপ্ত-উৎক্ষিপ্ত’। একটু গালাগাল ও দোষ প্রচার করে সম্মানহানি করলে
যদি এই পরিণতি হয় তাহলে যারা গুম-খুনের সাথে জড়িত তাদের পরিণতি কী হতে পারে?
আমরা
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালন করেছি। সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন। অর্থাৎ
সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে চলা। রোযার দিনে পানাহার থেকে বিরত থাকা এ কারণেই যে,
আল্লাহ রোযাবস্থায় পানাহার নিষিদ্ধ করেছেন। দীর্ঘ এক মাসের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য
হলো মানুষ যেন আল্লাহর সকল নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি
ফেসবুক থেকে একটি চুটকি বলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এক
কোরিয়ান এক মুসলমানকে বলে, 'তোমরা রোযার দিনে কি কিছুই খাও না? এক গ্লাস পানি বা
একটি সিগারেটও না বা গোপনেও কিছু খাও না? জবাবে মুসলমান বলে, 'আমরা কিছুই খাই না
এবং গোপনেও খাই না, এ কারণে যে আল্লাহ দেখেন।' কোরিয়ান বিস্মিত হয়ে বলে, 'তাহলে তো
তোমাদের দেশে কোনো অন্যায় হয় না এবং নিশ্চয়ই তোমাদের দেশে কোন পুলিশ নেই'।
কোরিয়ানের
ধারণা মতো এমন একজন সৎ মানুষ তৈরী করাই রোযার উদ্দেশ্য অর্থাৎ যার দ্বারা গোপনে ও
প্রকাশ্যে কোন অন্যায় হওয়া আদৌ সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ
ভিন্ন। এমন কোন অন্যায়-অপকর্ম নেই যা আমরা না করি। আমাদের আচার-আচরণ ও লেন-দেন
দেখে বিধর্মীরা লজ্জা পায়। ঘুষ আমাদের দেশে এক সাধারণ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। অথচ রসুল
(সা) বলেছেন, 'ঘুষ দানকারী ও গ্রহণকারী উভয়ই দোযখী।' আমরা সীমাহীন দুর্নীতিতে
নিমজ্জিত হয়ে পড়েছি। অথচ আমরা নামায পড়ি ও রোযা রাখি।
তিনি
মুসলমানদের অনৈক্যের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। দলাদলি ও পরস্পরের প্রতি
হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এটা ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক। ফরজ-ওয়াজিবের
ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। সুন্নাত-মুস্তাহাবে মতপার্থক্য উপেক্ষা করতে হবে।
নামাযের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নামাযে ফরজ ছুটে গেলে নামায পুনরায় পড়তে
হয়, ওয়াজিবে ত্রুটি হলে সহু সেজদা দিতে হয়, কিন্তু সুন্নাত-মুস্তাহাবে ত্রুটি
ধর্তব্যের মধ্যে নয়। নামাযের মতো এতবড় ইবাদতে সুন্নাত-মুস্তাহাবে ত্রুটি যদি বাধা
না হয় তাহলে এ সব নিয়ে কেন আমরা ঝগড়া-বিবাদ করি। আল্লাহপাকের দরবারে ফরজ-ওয়াজিবের
ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বড় বড় গুনাহ থেকে দূরে থাকো,
তাহলে ছোট গুনাহ আল্লাহ এমনিতেই ক্ষমা করে দিবেন’। সুন্নাত-মুস্তাহাব আমল
ফরজ-ওয়াজিবের ঘাটতি দূর করে এবং পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। সুন্নাত-মুস্তাহাব আমলে
ঘাটতি হলে গুনাহ হবে না তবে এই নিয়ে দলাদলি ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা কুফুরি। তিনি
সূরা আলে ইমরানের আয়াত (১০৫-১০৬) উদ্ধৃত করে বলেন দলাদলি ও উম্মাহর মাঝে বিভেদ-অনৈক্য
সৃষ্টি কুফুরি এবং পরিণতি জাহান্নাম।
তিনি
বলেন হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে কোন মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না। রসুল (সা) বলেছেন,
'আগুন যেমন শুকনা কাঠকে দ্রুত নিঃশেষ করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস
করে দেয়'। আল্লাহর কাছে হিংসুক বড় ঘৃণার পাত্র। তিনি সূরা ফালাকে হিংসুকের অনিষ্ট
থেকে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার করার কথা বলেছেন।
আমরা
সবাই আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশী। ক্ষমা পাওয়ার সহজ উপায় হলো আল্লাহর বান্দাদের ক্ষমা
করা। রসুল (সা) বলেছেন, 'যে তার ভাই-এর অপরাধ ক্ষমা করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার
অপরাধ ক্ষমা করবেন'। আমরা চাই আল্লাহ আমাদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখুন। তারও সহজ উপায়
রসুল (সা) বলে দিয়েছেন-'যে তার ভাই-এর ত্রুটি-বিচ্যুতি গোপন রাখবে, আল্লাহ
কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন'।
আল্লাহপাক
তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। আমরা যারা এখানে উপস্থিত আছি
তাদের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। আসুন, আমরা তাওবা করে পরিশুদ্ধ হয়ে যাই। শয়তান
আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সে আমাদের ধোকা দেয়। সে বলে ৪০ বছর নামায পড়োনি, কত অন্যায়
করেছ তাই ফিরে আসার কোন পথ নেই। বরং যে কয়টা দিন আছে ভোগ করে নাও। এ সবই ধোকা। বান্দাহ
যখন তাওবা করে তখন অতীতের ভুল-ত্রুটির জন্য আর শাস্তিযোগ্য থাকে না। তাই আমাদের
উচিৎ দ্রুত আল্লাহর কাছে ফিরে আসা।
তিনি
নামাযের ব্যাপারে আন্তরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। নামায বেহেশতের চাবি। চাবি
ছাড়া যেমন ঘরে প্রবেশ করা যায় না তেমনি নামায ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তিনি সবাইকে জামায়াতের সাথে নামায পড়ার জন্য জোর তাগিদ দেন। জামায়াতের সাথে নামায
না পড়লে নামাযে একাগ্রতা আসে না এবং নামাযে নিয়মিত হওয়া যায় না।
তিনি
কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন (তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে
সাহায্য চাও)। সালাম ফেরানো হলে নামায শেষ হয়ে যায়।আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইতে
হলে নামাযের মধ্যে চাইতে হবে।বিশেষ করে নফল নামাযে দোয়া মাছুরা পড়া শেষে, দুই
সেজদার মাঝখানে এবং সেজদার মাঝে বড় কাতরভাবে আল্লাহর চাইতে হবে। হাদিসে বলা হয়েছে
বান্দাহ যখন সেজদায় যায় তখন সে আল্লাহর নিকটবর্তী হয়ে যায়। নামায শেষে প্রচলিত
সামষ্টিক মোনাজাত রসুল (সা) ও ছাহাবায়ে কেরাম করেননি। বুখারি শরীফে উল্লেখ পাওয়া
যায় রসুল (সা) বৃষ্টির জন্য ছাড়া আর কখনই আমাদের মতো একত্রে হাত তুলে মোনাজাত
করেননি।
মোনাজাতের
পরিবর্তে সালাম ফেরানোর পর তিনি সুন্নাহ সমর্থিত কিছু আমলের কথা বলেন। আয়াতুল করছি
পাঠ (ফরজ নামায শেষে যারা নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পাঠ করে জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে
মৃত্যু ছাড়া তাদের আর কোন বাধা নেই-হাদিস), ছুবহান-আল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ,
আল্লাহু আকবার তাছবিহ পাঠ, সূরা ফালাক ও নাছ পাঠ বা পছন্দমত দোয়া-দরুদ পাঠ। এদিন
আর মোনাজাত করা হয় না।
আল্লাহপাক
আমাদের নামায, রোযা ও সকল নেক আমল কবুল করে জান্নাতে যাওয়ার পথটি সহজ করে দিন।
আমিন।
Comments
Post a Comment