ধানমন্ডি তাকওয়া
মসজিদে ফজরে ধারাবাহিক তেলাওয়াতের অংশ হিসেবে আজ তেলাওয়াত করা হয়েছে সূরা আল আহযাব-এর
১ম ও ২য় রুকুর অংশবিশেষ। নামায শেষে ৪র্থ আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদের সম্মানিত
সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশীদ। সরল অর্থ-
‘‘আল্লাহ কোন ব্যক্তির
দেহাভ্যন্তরে দু’টি হৃদয় রাখেননি। তোমাদের যেসব স্ত্রীকে
তোমরা ‘যিহার’ করো তাদেরকে
আল্লাহ তোমাদের জননীও করেননি এবং তোমাদের পালক পুত্রদেরকেও তোমাদের প্রকৃত পুত্র করেননি।
এসব তো হচ্ছে এমন ধরনের কথা যা তোমরা স্বমুখে উচ্চারণ করো। কিন্তু আল্লাহ এমন কথা বলেন
যা প্রকৃত সত্য এবং তিনিই সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করেন।’’ (সূরা আহযাব ৪)
একজন ব্যক্তি
একই সাথে মু’মিন আবার মুনাফিক; সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী এবং সৎ ও অসৎ হতে পারে না। তার বক্ষদেশে দু’টি হৃদয় থাকতে
পারে না। একদিকে আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা আবার আল্লাহর প্রতি বেপরোয়া ভাব
কখনই হতে পারে না।
কারো পক্ষে একই
সাথে দু’টি মর্যাদার অধিকারী
হওয়াও সম্ভব নয়। সে মু’মিন হবে অথবা মুনাফিক। সে কাফির হবে অথবা
মুসলমান। তাই কোন মু’মিনকে মুনাফিক বললে প্রকৃত সত্যের কোন
পরিবর্তন হয় না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আসল মর্যাদা একটিই হবে এবং সেটা আল্লাহ তায়ালা
ভালো করেই জানেন।
কুরআন আল্লাহর
পক্ষ থেকে নূর। কুরআন পাঠানো হয়েছে সমাজ থেকে অন্ধকার-কুসংস্কার দূর করে প্রেকৃত সত্য
তুলে ধরা। ‘যিহার’ একটি আরবি পরিভাষা। তৎকালে সমাজে একটি
কুসংস্কার ছিল যে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া-ঝাটির মাঝে যদি স্বামী বলে বসে যে ‘তুমি আমার মা’র মতো বা তোমার
পিঠ বা হাত (অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ) আমার মা’র মতো। এতে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে
যেতো’।
এমন কথা উচ্চারণ
করা অন্যায়, তবে তাতে স্ত্রী কখনই মা হয়ে যায় না। মা তিনিই যিনি গর্ভধারিনী ও জন্মদাত্রী।
সে সময়ে আবার পালক পুত্রকে নিজের সন্তান মনে করা হতো এবং তাকে মিরাশি সম্পদের অংশ দেয়া
হতো।
আল্লাহপাক এ সব
কুসংস্কারের প্রতিবাদ করে বলেছেন মুখে ডাকা সন্তান প্রকৃত সন্তান নয়। আল্লাহপাক কুসংস্কার
দূর করে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছেন।
কুরআনের পাঠ- ১৮/১০/২০১৮
Comments
Post a Comment