Skip to main content

জুমুয়া বক্তৃতা ৩১/০৮/২০১৮



বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে আজ জুমুয়ায় খতিব মহোদয় মদীনা শরীফের মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেন।
মদীনার পূর্ব নাম ছিল ইয়াসরিব। রসূল (সা) হিজরত করে সেখানে যাওয়ার পর নামকরণ করেন মদীনাতুর রসূল।  রসূল (সা)-এর শহর এবং সেই থেকেই মদীনা নামে পরিচিত।  হারামাইন শরীফ বলতে মক্কা ও মদীনাকেই বোঝায়, যেখানে সব ধরনের হত্যাকান্ড ও পাপাচার নিষিদ্ধ এবং যে শহর দু’টি পবিত্র।  রসূল (সা)-কে আশ্রয়দান, আনছার ও মুহাজিরদের মিলেমিশে প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন, মসজিদে নববীর অবস্থান, রসূল (সা)-এর রওজা মুবারক, অন্তত দশ হাজার সাহাবীর কবর, ওহুদ প্রান্তরে সত্তর জন শহীদের কবর নানা কারণে মদীনা বৈশিষ্ট্যের দাবীদার।  মদীনা সম্পর্কে অনেক হাদিস খতিব মহোদয় উল্লেখ করলেন।  রসূল (সা) বলেন, ‘ইবরাহিম (আ) যেমন কাবাকে হারাম ঘোষণা করেছিলেন, আমিও মদীনাকে হারাম ঘোষণা করছি।’ মদীনা একটি নিরাপদ শহর।  মদীনায় রিজিকের প্রশস্ততার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন।  রসূল (সা)-এর কথা মত কোন মন্দ লোক মদীনায় টিকতে পারে না।  তিনি আরো বলেন, সাপ যেমন গর্ত থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসে, তেমনি দ্বীন মদীনা থেকে ছড়িয়ে যাওয়ার পর আবার মদীনায় ফিরে আসবে এবং দাজ্জালের ফিতনা থেকে মদীনাকে রক্ষা করা হবে।  কোন ব্যক্তির মদীনায় মৃত্যু হলে রসূল (সা) তার জন্য সুপারিশ করার ওয়াদা করেছেন।  ইমাম মালেক (রা) মদীনা ছেড়ে কখনও বাইরে এক মুহূর্ত থাকতে রাজি হতেন না।  রসূল (সা)-এর কবর থেকে মিম্বরের স্থানটুকুকে জান্নাতের বাগান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।  এখানে হাজি সাহেবরা নামায আদায়ের আগ্রহ পোষণ করেন।  রসূল (সা)-এর রওজায় সূরা হুজরাতের সেই আয়াত ‘নবীর আওয়াজের ওপর নিজেদের আওয়াজ উচ্চ করিও না’ লেখা রয়েছে।  তাই সেখানে সবাই অনুচ্ছ স্বরে কথা বলেন এবং কোন ধরনের বেয়াদবী যাতে না হয় সেদিকে সবাই সতর্ক থাকেন।

তবে মনে রাখতে হবে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতার সাথে মদীনা যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।  মদীনার মর্যাদাটা ভিন্ন।  মদীনা গমনের উদ্দেশ্য রসূল (সা)-এর কবর জিয়ারতও নয়।  উদ্দেশ্য হলো মসজিদে নববীতে নামায আদায় এবং তৎসঙ্গে রসূল (সা)-এর রওজায় সালাম পৌঁছানোসহ তাঁর স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ দর্শন।  রসূল (সা) বলেছেন সওয়াবের আশায় তিনটি মসজিদে সফর করা যায়।  মসজিদে হারাম-যেখানে নামায আদায়ে এক লক্ষ গুণ ছওয়াব, মসজিদে নববী-যেখানে এক হাজার গুণ ছওয়াব এবং মসজিদে আকসা-যেখানে পাঁচশত গুণ ছওয়াব।  এর বাইরে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে কোথাও সফর বৈধ নয়।  খতিব মহোদয়ের ৪৫ মি. আলোচনা থেকে সংক্ষেপিত।

Comments