সরল অনুবাদ ‘ হে নবী! আমি কি তোমার বক্ষদেশ তোমার জন্য উন্মুক্ত করে দেইনি। আমি তোমার ওপর থেকে ভারী বোঝা নামিয়ে দিয়েছি, যা তোমার কোমর ভেঙ্গে দিচ্ছিল। আর তোমার জন্য তোমার খ্যাতির কথা বুলন্দ করে দিয়েছি। প্রকৃত কথা এই যে, সংকীর্ণতার সাথে প্রশস্ততাও রয়েছে। আসলে সংকীর্ণতার সাথে আছে প্রশস্ততাও। কাজেই যখনই অবসর পাও ইবাদাতের কঠোর শ্রমে লেগে যাও এবং নিজের রবেরই প্রতি মনোযোগ দাও ’ । নামকরণ : সূরার প্রথম দু ’ টি শব্দকেই নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। নাযিলের সময়-কাল : এই সূরাটি মক্কী সূরা এবং নবুয়তের এমন অবস্থায় অবতীর্ণ হয় যখন রাসূল (সা.)-এর বিরোধীতা মাত্র শুরু হয়। বিষয়বস্তুর সাথে সূরা আদ দুহার বেশ মিল রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে, সূরা আলাম নাশরাহ সূরা আদ দুহার পরেই নাযিল হয়। বিষয়বস্তু : রাসূল (সা.)-কে শান্তনা দানই এই সূরার মূল বিষয়বস্তু। মুহাম্মদ (সা.) সুদীর্ঘকাল তাঁর সমাজে বসবাস করেছেন। মানুষের সঙ্গে তাঁর চমৎকার ব্যবহার, লেন-দেনে স্বচ্ছতা, আমানতদারিতা, ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালনে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা, মানুষের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া, পরোপকারি মনোভাব ইত্যাদি সৎ গুণাবলীর কারণে তিনি ...
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ