আমার বেয়াই একজন কিডনীরোগী। সপ্তাহে
তিন দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করতে হয়। মাঝে কোমরের ব্যাথায় ডাক্তারের কাছে গেলে তাঁকে
কিছু ব্যায়াম শিখে দেন। সেই থেকে তিনি ব্যায়াম করছেন। তাঁর বয়স ৬৭ বছর।আজ বেয়াই-কে
ব্যায়ামরত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করলাম ‘আপনি কি
নিয়মিত না আজই শুধু ব্যায়াম করছেন?’ জবাবে
জানালেন-‘আমি
প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যায়াম করি এবং ডায়ালাইসিস-এর দিন বাদে প্রতিদিন সকালে
হাঁটি।’
আমি সন্তোষ প্রকাশ করলে তিনি জানালেন যে, কোমরে ব্যথার পরে ডাক্তারের পরামর্শ
মোতাবেক ব্যায়াম করে তিনি অনেক উপকার পাচ্ছেন। তাঁর মধ্যে সুস্থতা ও একটা
সক্ষমতাভাব (ফিটনেস) লক্ষ্য করলাম। টিভি প্রোগ্রামের মধ্যে ব্যায়াম সম্পর্কীয়
আলোচনা তাঁর খুব পছন্দ এবং নিয়মিত দেখে থাকেন। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা উদ্ধৃত
করলেন-‘ঢাকা
শহরের মানুষ পয়সা খরচ করে জিমে যায় আর একজন রিক্সাওয়ালা রিক্সাচালায়ে পয়সা অর্জন
করে এবং ন্যাচারাল ফিজিওথেরাপি ও এক্সারসাইজও হয়ে যায়। আজকে ইন্টারনেটে দেখলাম যে,
ব্যথার কোন ঔষধ নেই। ওজন, ডায়েবেটিসসহ নানা রোগে বা বংশীয় কারণে ব্যথা-বেদনা হয়।
ব্যায়াম ও নিয়ম-কানুন মেনে চলাতেই ব্যথার উপশম হয়। আসলে সুস্থতার জন্য শারীরিক
শ্রমের কোন বিকল্প নেই। এখানে আমার কিছু পরামর্শ।
# প্রতিদিন সময় করে হাঁটা ও কিছু সময়
ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম করা
# পাঁচ ওয়াক্ত নামায হেঁটে মসজিদে
যেয়ে আদায় করা
# সকাল সকাল ঘুমিয়ে যাওয়া এবং ফজরের
পূর্বে ঘুম থেকে জাগা
# খুব ব্যস্ততা বা সমস্যা না থাকলে
লিফ্ট বাদে ওঠা-নামা করা
# বাসায় নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম কিছু
হলেও করা। যেমন- নিজে উঠে যেয়ে পানি পান করা, খাওয়ার পরে প্লেটটা নিজ হাতে ধুইয়ে যথাস্থানে
রাখা, নিজের কাপড়-চোপড় নিজ হাতে ধোয়া ও ইস্ত্রি করা এবং শারীরক পরিশ্রম হয় এমন যে
কোন কাজ করা।
# অফিসে এক নাগাড়ে বসে যারা কাজ করে
তাদের মাঝে-মধ্যে উঠে দাঁড়ানো (অন্তত মোবাইল করা বা রিসিভ করার সময় দাঁড়ায়ে করা
যেতে পারে)।
# পায়েহাঁটা পথে রিক্সাছাড়া চলা। মোট
কথা প্রতিদিনই কিছু শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। আমি এখানে যা লিখলাম নিজে মোটামুটি
তা পালন করি।
# ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হওয়া। ঘুম
থেকে জেগে ও ঘুমানোর পূর্বে পানি পান করা
সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত। তাই সুস্থ
থাকার জন্য সবারই সচেষ্ট হওয়া দরকার। আল্লাহ আমাদেরকে সুস্থ জীবন দান করুন। ২৩/০২/২০১৭
Comments
Post a Comment