৮ম বর্ষপূর্তিতে নিউভিশন আয়োজন করেছে
গ্রাহক সেবাপক্ষ ও মেলা (২১ ফেব্রুয়ারি-৭ মার্চ ২০১৭) ও পিঠা উৎসব। গ্রাহক হওয়ায়
আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নিউভিশন গাড়ি পাঠিয়ে আমাদেরকে তারানগর,
কেরানীগঞ্জ ইকোসিটিতে নেয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আমার বোন-ভগ্নিপতি, মেয়ে ও নাতনী এবং
ভাগ্নি ও নাতিসহ আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম। আজকের সময়টা বেশ আনন্দেই কাটলো।
নাতি-নাতনীসহ সপরিবারে যাওয়ায় একটা পিকনিকের আমেজ ছিল। যাওয়ার সাথে সাথে গরম গরম
পাকানপিঠা, ধুপিপিঠা, চিতাইপিঠা, জিলাপি ও ঝালমুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। খিচুড়ি ও
গরুর গোশ দিয়ে লাঞ্চ এবং শেষে অন্যতম পরিচালক জনাব মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে
এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গ্রাহকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,
সরকারের উপসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম, অতিরিক্ত কর কমিশনার, নায়েমের
উপপরিচালকসহ সরকারি ও বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা নিউভিশনের সাথে লেনদেনে তাঁদের
সততা, আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতি পূরণে পরম নিষ্ঠার পরিচয় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও
ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন যে, ডেভেলপারদের সম্পর্কে সমাজে যখন একটি নেতিবাচক
ধারণা চালু, সে সময়ে নিউভিশনকে তাঁরা আস্থার প্রতীক হিসেবে পেয়ে নিজেদেরকে ধন্য
মনে করেন। তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপত্তা ও লাভজনক বিনিয়োগের জন্য নিউভিশনের
মত একটি প্রতিষ্ঠান পাওয়ায় তাঁরা সবাই খুশি। পরিচালক ফাইন্যান্স জনাব মোঃ তরিকুল
ইসলাম মনির সেবাপক্ষ উপলক্ষে যে সব সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তা তুলে ধরে এই সুযোগ
গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহবান জানান এবং এ সুবিধা ০৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত
থাকবে। তিনি বলেন যে, তাঁরা প্রতিশ্রুতি পালনে সবসময়ই আন্তরিক এবং এটা তাঁদের
ব্যবসায়িক পুঁজি। ২০০৯ সনে তাঁরা গ্রাহকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে নিউভিশন
সিটিতে ২০১৪ সনের মধ্যে প্লট হস্তান্তর করা হবে এবং আল্লাহর মেহেরবানীতে ঠিকই ২০১৪
সনের জানুয়ারি মাসে তাঁরা প্লট হস্তান্তর করেছেন। সভাপতি জনাব মোঃ বেলাল হোসেন
গ্রাহকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাঁদের গ্রাহকরাই নিউভিশনের এমব্যাসাডর, আলাদা কোন
বিজ্ঞাপন নয়, তাঁরাই নতুন গ্রাহক সংগ্রহে সহায়তা করেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন
যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন গ্রাহকের কারণে সেখানে দুইশত প্লট বিক্রি হয়েছে। একজন
গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইকোসিটিতে ২০২০ সালে তাঁরা প্লট হস্তান্তর
করতে সক্ষম হবেন ইনশা-আল্লাহ। সভাপতি তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে কষ্ট করে মেলা ও পিঠা
উৎসবে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে
আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, নিউভিশন ইকোসিটিতে
বন্ধুজন প্রকল্পে আমরা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজন মিলে দশ কাঠার একটি প্লট বুকিং
দিয়েছি ও নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে যাচ্ছি। ৬ বছর মেয়াদে ৮ লক্ষ টাকা আমাদেরকে
পরিশোধ করতে হবে।
মাত্র আট বছরে তাদের পথচলা বেশ
সন্তোষজনক। নিউভিশনের মাধ্যমে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে রুজি-রোজগারের পাশাপাশি
খেদমতের মানসিকতা দান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। ২৫/০২/২০১৭
Comments
Post a Comment