Skip to main content

Posts

Showing posts from 2017

আমরা বিস্মিত! আমরা হতাশ!

ইয়াবা কারবারে জড়িতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পত্রিকায় প্রকাশিত খবর- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে গড়ে ওঠা ইয়াবা চক্রের ৪৪ জনকে শনাক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অধিশাখা যা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পৌঁছেছে এবং এর কপি রাবি ও রুয়েট কর্তৃপক্ষকেও পাঠানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে রাবির ০৬ জন শিক্ষক, ০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা, ০৩ জন সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ০৬ জন সাধারণ শিক্ষার্থী (মোট ৩৪ জন)। রুয়েটের ০১ জন শিক্ষক, ০২ জন ছাত্রী ও ০৭ জন (মোট ১০ জন) কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে তালিকায়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৪ জন কর্মকর্তার নামও সেই তালিকায় আছে। তালিকায় প্রত্যেক শিক্ষকের নাম, বিভাগ ও পদবী এবং শিক্ষার্থীদের নাম, বিভাগ ও বর্ষ উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন শিক্ষকের এ অধপতন কি কল্পনা করা যায়? জাতি কতখানি অধপতিত হলে মানুষ গড়ার কারিগর খ্যাত একজন শিক্ষকের এই অধপতন শুনতে হয়। শিক্ষকই যদি এমন হয় তার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো...

মহান মুক্তিযুদ্ধ : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

দুশো বছর বৃটিশ শাসনের অধীন থেকে ১৯৪৭ সালে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাসমূহ নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাসমূহ নিয়ে ভারত প্রতিষ্ঠা লাভের পরও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না। দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী সকল ক্ষেত্রে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীদের প্রাধান্যের কারণে এতদঞ্চলের মানুষ নানাভাবে শোষিত ও বঞ্চিত হতে থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনের অনুপস্থিতিতে দেশের শাসনক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও বাঙালীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই নগণ্য। প্রতিবেশী ভারত বিশাল দেশ এবং নানা সমস্যা সত্ত্বেও গণতন্ত্র সমুন্নত থাকার কারণে বড় ধরনের সংকটের সম্মুখীন তাদেরকে হতে হয়নি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে সেনাশাসন এবং গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে স্বৈরশাসন দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করে। শুরুতেই রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বাঙালীদের বিরোধ বাধে। ১৯৫২ সালে রক্তদানের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ অধিকার সচেতন হন এবং সে সময় হতে উভয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বৃটিশ আমল থেকেই অনগ্রসর ছিল। আইউব শাসনামলে কোন উন্নয়ন হয়নি ...

ধানমন্ডি ৭-এ বায়তুল আমান জামে মসজিদে (১০/১১/২০১৭) জুমা আদায়

ধানমন্ডি এলাকায় সুন্দর ও বড় মসজিদসমূহের মধ্যে এটি একটি। বেশ প্রশস্ত জায়গায় তিনতলা মসজিদে ৪/৫ হাজার মুসল্লি একসাথে নামায আদায় করতে পারে। সাথে মাদ্রাসা ও ছোট্ট পরিসরে হলেও দাতব্য চিকিৎসালয় আছে। মহিলাদের নামাযের সুব্যবস্থা আছে। ইমাম সাহেব আলোচনা শুরু করলেন দুপুর ১টায় (২০/২২ মি.)। সূরা আনকাবুত ৪৫ নং আয়াত তেলাওয়াত করে আলোচনা পেশ করলেন। সরল অর্থ- ‘ (হে নবী!) যে কিতাব তোমার ওপর নাযিল করা হয়েছে, তুমি তা তেলাওয়াত করো এবং নামায প্রতিষ্ঠা করো; নিঃসন্দেহে নামায (মানুষকে) অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, পরন্তু আল্লাহতায়ালার স্মরণ একটি মহান কাজ, তোমরা যা কিছু করো আল্লাহতায়ালা তা জানেন। ’ এই সূরাটি মক্কী সূরা। কঠিন মুহূর্তে সূরাটি নাযিল হয়। বিপদজনক অবস্থায় পরম ধৈর্যাবলম্বন ও ঈমানদারদের চারিত্রিক উৎকর্ষতা সাধনের জন্য আল্লাহপাক কুরআন তেলাওয়াত ও নামায কায়েমের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। বুঝেসুঝে কুরআন তেলাওয়াত করলে কুরআনই মানুষকে সর্বাবস্থায় সঠিক পথের দিশা দেয় এবং নামায হলো শ্রেষ্ঠতম স্মরণ; মানুষ যে আল্লাহর গোলাম নামায মানুষের অন্তরে তা জাগরুক করে দেয়, ফলে আল্লাহর নাফরমানি থেকে দূরে থাকা তা...

শিশুর প্রতি সর্বদা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে হবে

শিশুমন খুবই আবেগপ্রবণ। সামান্যতেই গোস্যা করে বসে। ধমক দিয়ে বা বকে কোন কাজ করানো মোটেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমার নাতনীকে দিয়ে দেখছি বা বাচ্চাদের স্কুলে সাড়ে তিন বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেও লক্ষ্য করেছি। তাদেরকে শুধুই প্রশংসা করতে হবে। প্রশংসা করার মধ্য দিয়ে যেটা সম্ভব শাস্তি বা ভয় দেখিয়ে তা কখনই সম্ভব নয়। বরং তাতে তার মাঝে আরো জিদ চাপে বা পিতা-মাতা থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এখন এটা একটি শ্লোগান- ‘ বাচ্চাদের শুধু হ্যাঁ বলুন। ’ ইন্টারনেটে টমাস আলভা এডিসন সম্পর্কীয় একটি লেখা পড়েছিলাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এডিসনের মাকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে এডিসনকে বলেন, ‘ তুমি চিঠিটা না খুলে তোমার মাকে দিবে। ’   এডিসন তার মাকে চিঠিটা দিয়ে জানতে চায় তাতে কী লেখা? তার মা চিঠিটা খুলে অঝোরে কাঁদেন এবং এক পর্যায়ে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলেন, ‘ আপনার পুত্র খুব মেধাবী, এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং তাকে শেখানোর মত যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন। ’ তারপর থেকে শুরু হয় এডিশনের মা ’ র সংগ্রাম এবং ঠিকই ছেলেকে তিনি গড়ে তোলেন।এই এডিসনই হন বি...

গোয়েবলস-এর প্রেতাত্মারা বড় সক্রিয়

গোয়েবলস ছিল হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। তার থিয়োরি ছিল একটি মিথ্যা বারবার বললে তা সত্যে পরিণত হয়। গোয়েবলস একা নয় এর পূর্বসূরি ছিল অনেকের মধ্যে আবু জেহেল-আবু লাহাব। মিথ্যা প্রচারণায় এই আবু জেহেল, আবুল লাহাব ছিল গোয়েবলস-এর উস্তাদ। মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সর্বকালে-সর্বযুগে অপ্রতিদ্বন্দী। নিষ্কলুষ চরিত্রের মুহাম্মদ (সা)-এর বিরুদ্ধে কতই না অপপ্রচার চালিয়েছে এই নরপশুরা। তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে এক বুড়ি তাঁকে কষ্ট দেয়ার জন্যে পথে কাঁটা বিছায়ে রাখাকে কর্তব্য জ্ঞান করতো। আল্লাহ নিজেই নবী মুহাম্মদ (সা) শান্তনা দিয়েছেন এই বলে-‘হে নবী! আমি জানি, এরা যে সব কথাবার্তা বলে তাতে তোমার বড়ই মনোকষ্ট হয়; কিন্তু এই জালেমরা তোমাকে নয়, আল্লাহর নিদর্শনাবলী মানতেই অস্বীকার করে।’ ওরা আসলে আল্লাহর দুশমন, শয়তানের সহচর। ইসলামের কোন কিছুই ওদের সহ্য হয় না। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার কোন সুযোগ নেই। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবর্জিত হয়ে যেখানে দেশের যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে, লাম্পট্যের প্রাবল্যে অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সেখানে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতি...