Skip to main content

আমরা বিস্মিত! আমরা হতাশ!




ইয়াবা কারবারে জড়িতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে গড়ে ওঠা ইয়াবা চক্রের ৪৪ জনকে শনাক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অধিশাখা যা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পৌঁছেছে এবং এর কপি রাবি ও রুয়েট কর্তৃপক্ষকেও পাঠানো হয়েছে।
তালিকায় রয়েছে রাবির ০৬ জন শিক্ষক, ০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা, ০৩ জন সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ০৬ জন সাধারণ শিক্ষার্থী (মোট ৩৪ জন)।
রুয়েটের ০১ জন শিক্ষক, ০২ জন ছাত্রী ও ০৭ জন (মোট ১০ জন) কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে তালিকায়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৪ জন কর্মকর্তার নামও সেই তালিকায় আছে। তালিকায় প্রত্যেক শিক্ষকের নাম, বিভাগ ও পদবী এবং শিক্ষার্থীদের নাম, বিভাগ ও বর্ষ উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন শিক্ষকের এ অধপতন কি কল্পনা করা যায়? জাতি কতখানি অধপতিত হলে মানুষ গড়ার কারিগর খ্যাত একজন শিক্ষকের এই অধপতন শুনতে হয়। শিক্ষকই যদি এমন হয় তার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো কিছু কিভাবে আশা করা যায়? ধর্ষণ ও ধর্ষণের পরে হত্যা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় আসছে। সমাজের উপরের স্তরে মানুষের এমন অধপতন সত্যিই বেদনাদায়ক ও হতাশাজনক। অনুসন্ধান চালালে সকল সেক্টরে সব লোমহর্ষক ঘটনা বেরিয়ে আসবে। নৈতিক শিক্ষার অনুপস্থিতিতে সমাজ দ্রুত অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ছে। আল্লাহর ভয় ও আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসই পারে মানুষকে অন্যায়-অপকর্ম থেকে ফিরিয়ে রাখতে। দুর্ভাগ্য, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় তার প্রতিফলন নেই, বরং কিভাবে বিশ্বাসবিবর্জিত করা যায় তারই প্রয়াস লক্ষণীয়। আল্লাহপাক আমাদেরকে হেফাজত করুন। ১৪/১১/২০১৭

Comments