Skip to main content

পাসপোর্ট অফিস মানেই এক যন্ত্রণা



দালালদের দৌরাত্ব, সীমাহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতীক ছিল পাসপোর্ট অফিস। অবশেষে কোন উপায় না দেখে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়াতে এখন বেশ শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং দালালদের দৌরাত্ব নেই বললেই চলে (সীমিত হয়েছে)। তারপরও বলবো কষ্ট পুরোপুরি দূর হয়নি। আজকে আমার নিজের অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করবো। আমার ও আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রিইস্যু করার জন্য গত ১০/০৮/২০১৭ আবেদন করি এবং ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ ছিল ৩১/০৮/২০১৭। গত ০৮/০৯/২০১৭ তারিখ তারা মেসেজ পাঠায় যে পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। আজ  গিয়েছিলাম পাসপোর্ট গ্রহণ করতে। একটি রেডি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে দুটি ঘন্টা লেগে গেলো। ১১-৩০টার দিকে যেয়ে দেখলাম লম্বা লাইন। সেই লাইনে দাঁড়িয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর পক্ষে স্লিপ জমা দেয়ার পর অপেক্ষা করতে থাকলাম। যে কয়টা চেয়ার তার তিন গুণ লোক দাঁড়িয়ে, ঘরটি একেবারে লোকজনে ঠাসা। মাইকে ডাকার পর কাউন্টার থেকে একে একে সবাই সুশৃঙ্খলভাবে পাসপোর্ট গ্রহণ করছে। ৪টা কাউন্টার থাকলেও ২ ও ৪ নম্বর কাউন্টার থেকে কেবল বিলি করা হচ্ছিল। দাঁড়িয়ে থাকার পর একজন চেয়ার ছেড়ে সংগ্রহ করতে গেলে আমি সেই চেয়ারে একটু বসার সুযোগ পাই। মিনিট দশেক পরে আমার ডাক পড়ে। আমারটা নেয়ার পর আমার স্ত্রীরটা গ্রহণের জন্য অপেক্ষার পালা। তখন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না। বিলম্ব হওয়া ও লাইনে দাঁড়ানোতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যারা পাসপোর্ট অফিসে আসেন তারা অর্থের বিনিময়ে সেবা গ্রহণ করেন (পাসপোর্ট প্রতি ৩,৭৯৫/-টাকা জমা দিতে হয়)। একটি রেডি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে ২ ঘন্টা লাগবে কেন এবং কেনই বা একটু বসার ব্যবস্থা করা যাবেনা? এটাতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় এবং সেনাবাহিনীর মত একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে যে কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে সেখানে লোকবলের স্বল্পতা ও পর্যাপ্ত স্থান থাকবে না কেন? সেখানে ২টা ঘন্টা অবস্থানের মধ্যে আমি মাত্র ১০টা মিনিট বসার সুযোগ পেয়েছি। আমরা এ অব্যবস্থাপনা ও দুর্ভোগের অবসান চাই, অন্তত যেখানে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা ও গর্বের প্রতীক। কোনভাবেই মানুষ বিরূপ হবে এমনটি আমরা আশা করি না।

Comments