Skip to main content

অধ্যাপিকা বেগম শিরিন ফিরে গেলেন তাঁর মহান রবের কাছে


কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপিকা বেগম শিরিন গত রাত ৩-০০টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। তিনি সুদীর্ঘকাল কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজেও অধ্যাপনা করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁর শিক্ষার্থীরাই ছিল তাঁর সন্তান। কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তাঁর স্বামী হাফিজ ভাই পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর স্বামী প্রখ্যাত হার্টস্পেশালিস্ট ডাঃ এস আর খানের ছোট ভাই। একজন শিক্ষক হিসেবে বেগম শিরিন অত্যন্ত সফল ছিলেন এবং বাংলা ভাষায় তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। তিনি ভালো বলতে ও লিখতে পারতেন। তাঁর আলোচনা বেশ রসাত্মক হত। কুষ্টিয়া শহরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ’ গঠিত হলে তিনি প্রথম দিকেই আজীবন সদস্য হন এবং সভা-সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকতেন ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধার্মিক এবং উদার প্রকৃতির ছিলেন। আমরা আপার খুবই স্নেহধন্য ছিলাম। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ গঠনের পর এ পর্যন্ত আমাদের আট জন সদস্য আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেন। হে পরোয়ারদেগার! আমাদের আপা বেগম শিরিনসহ আট জন যারা কর্মজীবনে সাফল্য রেখে একে একে তোমার কাছে ফিরে গেলেন, তুমি সবাইকে ক্ষমা করে দাও এবং জান্নাতে তোমার মেহমান হিসেবে কবুল করে নাও। আর আমরা যারা রয়েছি তুমি তাদেরকে সুস্থতাসহ তোমার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখ। শিরিন আপার সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দোয়া করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

আজ বাদ আছর কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে তাঁর নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ০৯.০৯.২০১৭

Comments