Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2017

রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার প্রশ্নে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ

১৫/০৯/২০১৭ তারিখ মিরপুর-২ রাইনখোলা জামে মসজিদে জুমার খুতবায় মসজিদের সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোঃ শাহ আলম নূর কুরআনের সূরা আল বুরুজ আলোচনাক্রমে বলেন যে, সেদিনে ঈমান আনার কারণে জালেমরা যেমন ঈমানদারদেরকে আগুনে পোড়ায়ে হত্যা করেছিল আজও   একই অপরাধে মায়ানমারের জালেম শাসকগোষ্ঠী নাগরিক অধিকারবঞ্চিত রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়াসহ নৃশংসভাবে হত্যা করছে। তাদের এই বর্বর হত্যাকান্ড থেকে নারী-শিশু-বৃদ্ধ কেহই রেহাই পাচ্ছে না। হাদিস উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মুসলমানরা একটি দেহের সাথে তুলনীয়। শরীরের কোথাও আঘাত পেলে তা যেমন সর্বত্র অনুভূত হয়, তেমনি বিশ্বের কোথাও মুসলমান নির্যাতিত হলে তারা কষ্ট অনুভব করে এবং তখন আর চুপ থাকতে পারে না। আল্লাহপাক মুসলমানদেরকে পরস্পর ভাই হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই বিপন্ন ভাই-এর সাহায্যে এগিয়ে আসা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি গত জুমায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য তাঁর মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। তাতে সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা সংগৃহিত হয়েছে বলে তিনি জানান। আগামী মঙ্গলবার তাঁর নেতৃত্বে রাইনখোলা জামে মসজিদের পক্ষ ...

দেশ এখন লুটেরাদের কবলে

দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত চামড়া। শিল্প হিসেবে চামড়া আমাদের দেশে এখনো তেমন বিকশিত হতে পারেনি। মূলত কাঁচা চামড়া ও কিছুটা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানী করা হয়। এই চামড়া বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হওয়ার সাথে সাথে দেশের হত-দরিদ্র ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা-ইয়াতিমখানার আয়েরও প্রধানতম উৎস। সারা বছর সংগৃহিত চামড়ার মধ্যে কেবল কোরবানীর ঈদেই আসে প্রায় ৪৫% । ২০১৩ সালে গরুর চামড়ার সংগ্রহ মূল্য ছিল প্রতি বর্গফুট ৮০-৯০ টাকা এবং ২০১৪ সালেও প্রায় এমনই। কিন্তু এ বছরে ছিল মাত্র ৫০-৫৫ টাকা। এই ন্যূনতম মূল্যও এবারের কোরবানীর ঈদে পাওয়া যায়নি। গরুর চামড়া ৬/৭ শত টাকা বা কম-বেশি ও ছাগলের চামড়া মাত্র ৪০/৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সিন্ডিকেট করে যে যেভাবে পেরেছে সেভাবে চামড়া কিনেছে। কম মূল্যের পেছনে নানা যুক্তি দেখানো হচ্ছে। বিশেষ করে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর। বর্ডারে চোরাচালান বন্ধ করে দিয়ে পানির দরে চামড়া কিনে একটি গোষ্ঠী দরিদ্রদের পাওনা লুটে নিলো। ভারত থেকে গরু আসতে পারে, পেঁয়াজ-রসুন আসতে পারে-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাঁচা চামড়া ভারতে যেতে সমস্যা কোথায়? সেখানে সরকারের তো আয়ও হতে পারে। আমাদের দেশে সেবাখাত প্রায় প...

তমিজ স্যারকে যেমন দেখেছি

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক প্রফেসর তমিজ উদ্দীন আহমেদ মন্ডল আজ আর আমাদের মাঝে নেই। আল্লাহর দ্বীনের কাজে সদাব্যস্ত মানুষটি তাঁর রবের ডাকে গত ১৯.১১.২০১৩ তারিখ তাঁর মালিকের কাছেই ফিরে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। তিনি ১৯৪৪ সালে ১০ জুলাই পশ্চিম বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম নাঈম উদ্দীন আহমেদ মন্ডল এবং মাতার নাম আমিনা খাতুন। কুষ্টিয়া শহরের নতুন কোর্টপাড়া ১৫০, মাহতাব উদ্দিন রোডে বসবাস করতেন। পাশেই মারকাজ মসজিদ। তিনি তাবলীগ জামাতের একজন নেতৃস্থানীয় মুবাল্লিগ ছিলেন এবং মারকাজ মসজিদের এক সময়ে সভাপতিও ছিলেন। তিনি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসার কাজে। আমি স্যারের ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি তাঁর সহকর্মীও ছিলাম। অত্যন্ত নিষ্ঠাবান এবং সততার মূর্তপ্রতীক স্যার কখনও কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। পরীক্ষায় নকল দেখলে তিনি আর নিজেকে স্থির রাখতে পারতেন না। তিনি কলেজের বিভিন্ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতেন এবং সকল কাজেই তাঁর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ছিল। তাঁর বাসার পাশেই আমি বসবাস করতাম এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে প্রায়ই স্যারের সাথে আমার সাক্ষাত হত।...

প্রফেসর শামসুল আলম স্যার আর নেই

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোঃ শামসুল আলম আজ বিকেল ৩-৩০টায় ৭৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। তিনি অত্যন্ত সদালাপী, ধর্মপরায়ণ ও সফল শিক্ষক ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও গুণগ্রাহী রেখে গেলেন। আমি স্যারের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি আজকে ইফতারের পূর্বমুহূর্তে স্যারের মাগফেরাত চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি এবং স্যারের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ করছি তাঁর জন্য দোয়া করতে। তাঁর মৃত্যু তারিখ ১৯/০৬/২০১৬

একজন দ্বায়ী ইলাল্লাহর চিরবিদায়

অধ্যাপিকা ফিরোজা বেগম আর নেই। তিনি আজ   দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ায় তাঁর মেয়ের বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর (জন্ম ১৯.০২.১৯৪৪ এবং মৃত্যু ২৫.০৭.২০১৭)। তিনি কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া ছয় রাস্তার মোড়ে হান্নান ভিলায় বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে, ০৫ জন নাতি-নাতনী এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী ও গুণগ্রাহী রেখে গেলেন। তিনি একজন সফল শিক্ষক, ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেত্রী ছিলেন। মহিলাঙ্গনে দ্বীনের তালিম ও তারবিয়ত লক্ষ্যে গঠিত মজলিসে ইসলাহীর সুদীর্ঘকাল সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহিলাদের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে তিনি সব সময় ছুটে বেড়িয়েছেন। সুদীর্ঘকাল শিক্ষকতা শেষে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। অবসর জীবনটা তিনি সম্পূর্ণভাবে দ্বীনের পথে ব্যয় করেছেন। ইসলামের বুনিয়াদী ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি নৈতিকতাবোধে তিনি মহিলাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতেন। কুরআনের ওপর তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। সরাসরি কুরআন বোঝার মত আরবি জ্ঞান তিনি আয়ত্ব করেছিলেন এবং তিনি সবসময় কুরআনের তাফসির/দরস প্রদানে স্বচ্ছন্দ...

অধ্যাপিকা বেগম শিরিন ফিরে গেলেন তাঁর মহান রবের কাছে

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপিকা বেগম শিরিন গত রাত ৩-০০টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। তিনি সুদীর্ঘকাল কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজেও অধ্যাপনা করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁর শিক্ষার্থীরাই ছিল তাঁর সন্তান। কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তাঁর স্বামী হাফিজ ভাই পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর স্বামী প্রখ্যাত হার্টস্পেশালিস্ট ডাঃ এস আর খানের ছোট ভাই। একজন শিক্ষক হিসেবে বেগম শিরিন অত্যন্ত সফল ছিলেন এবং বাংলা ভাষায় তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। তিনি ভালো বলতে ও লিখতে পারতেন। তাঁর আলোচনা বেশ রসাত্মক হত। কুষ্টিয়া শহরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ’ গঠিত হলে তিনি প্রথম দিকেই আজীবন সদস্য হন এবং সভা-সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকতেন ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধার্মিক এবং উদার প্রকৃতির ছিলেন। আমরা আপার খুবই স্নেহধন্য ছিলাম। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ গঠনের পর এ পর্যন্ত আমাদের আট জন সদস্য আল্লাহর কা...

মাওলানা মঞ্জুর কাদের তাঁর রবের কাছে ফিরে গেলেন

কুষ্টিয়া হাজী আফসার উদ্দীন বালিকা মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মঞ্জুর কাদের কিডনীজনিত জটিলতায় ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল   বারডেমে স্থানান্তরিত করার পর আজ সেখানে কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর এবং   তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেলেন। আগামীকাল সকাল ১০টায় তাঁর মাদ্রাসার সামনে ঈদগাহ ময়দানে নামাযে জানাযা শেষে তাঁর নিজ গ্রাম কুশলীবাসায় বাদ জোহর দ্বিতীয় নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামে তাঁর নিজ জমিতে আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ সামাজিক ও জনহিতকর কাজের সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। আমরা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর ছেলে-মেয়েরা যাতে দোয়াকারী নেক সন্তান হিসেবে চলতে পারেন সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও লেখক হাফেজ রফিক উদ্দীন আহমাদ তাঁর ছোট ভায়রা। এই পরিবারটি ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর অবর্তমানে   আল্লাহপাক এই পরিবারটির অভিভাবকত্ব গ্রহণ করুন। আমিন। ১০/০৯/২০১৭