Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2015

সুখ না দুখ

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে আমাদের পাঠ্য ছিল রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর প্রবন্ধ ‘সুখ না দুখ ’ । এ পৃথিবীতে সুখ বেশি না দুখ বেশি-এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। দুখবাদীরা বলবে এ পৃথিবীতে কেবলই দুখ। রোগ-শোক-ব্যথা-বেদনা মানুষের নিত্যসঙ্গী। অভাব-অনটন, স্ত্রী-সন্তান, পিতা-মাতাসহ প্রিয়জনদের উপেক্ষা, চাকুরি জীবনে অতৃপ্তি, ব্যবসায়ে মন্দা, পথে দুর্ঘটনা-চতুর্দিক শুধু দুখেরই ঘনঘটা এবং এক সময় মানুষ বেঁচে থাকারই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সুখবাদীদের মতে পৃথিবীতে সুখেরই আধিক্য। চাকুরী ও ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি, জমিনে ফসলাদি, পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান ও ভাই-বোন নিয়ে সুখের সংসার-সুখেরই আধিক্য প্রমাণ করে। তাইতো তার জীবনে এত হাসি, এত আনন্দ। সুখবাদীদের প্রধান যুক্তি এ পৃথিবীতে সুখের আধিক্য বলেই মানুষ বেঁচে থাকতে চায়। যদি দুখই বেশি হবে তবে মানুষ কেন এ পৃথিবীকে আঁকড়িয়ে থাকতে চায়। সুখ বেশি না দুখ বেশি এ বিতর্কের শেষ নেই; কেউ পরাভব মানতে রাজি নয়। আমার মনে হয় লেখক রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী উভয়ের যুক্তিগুলোই শুধু তুলে ধরেছেন, নিজে কোন উপসংহারে আসতে পারেন নি। সুখ-দুখ বড় আপেক্ষিক। আমরা যাকে সুখি মানুষ হিসেবে জানছি, তার ভিতরের মানুষট...

মি’রাজের শিক্ষা

মি’রাজ রসূল সা .- এর জীবনে এক বিস্ময়কর ঘটনা। এক রাতে মসজিদুল হারাম থেকে দূরবর্তি মসজিদ মসজিদুল আকসা গমন এবং সেখান থেকে ঊর্ধালোকে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন , বেহেশ্ত - দোযখ অবলোকনসহ আবার রাতেই ফিরে আসা - যা অতীতে কখনো কারো দ্বারা ঘটেনি বা কেউ দাবীও করেনি ; সত্যিই বিস্ময়কর। কিন্তু অসম্ভব নয়। অসম্ভব নয় এই কারণে যে , কাজটি ঘটিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা , যাঁর কাছে সম্ভব - অসম্ভব প্রশ্ন একবারেই অবান্তর। তিনি বলেন - ‘পবিত্র ও মহিমান্বিত ( সেই আল্লাহ তায়ালা ), যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসায় নিয়ে গেলেন , যার পারিপার্শ্বিকতাকে তিনি আগেই বরকতপূর্ণ করে রেখেছিলাম , যেন তিনি তাকে তাঁর কিছু নিদর্শন দেখাতে পারেন , মূলত   তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বস্রষ্টা ’ । কুরআন মজিদে এতটুকুই বলা হয়েছে এবং হাদিসে অতিরিক্ত যা আছে তা কুরআনেরই পরিপূরক। অন্তত ২৫ জন সাহাবী মি ’ রাজের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। মি ’ রাজ স্বপ্নযোগে নয় বরং সশরীরেই সংঘটিত হয়েছে বলে রসূল সা . মি ’ রাজ ...