Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2013

দুর্নীতি রোধে রোযার ভূমিকা

আজ আমাদের দেশে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। একজন দরিদ্র দুধবিক্রেতা দুধে পানি মেশাচ্ছে, ফলবিত্রেতা সুযোগমত পচা ফলটা ক্রেতাকে দিয়ে দিচ্ছে, আদালতে সাক্ষী অনর্গল মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে যাচ্ছে, চাকুরীতে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হচ্ছে অর্থাৎ রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ কেউ দুর্নীতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারছে না। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়ে বিশ্বদরবারে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমাদের পরিচিতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এর থেকে উত্তরণের উপায় কি? দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে, সরকারের নানা বাহিনী রয়েছে; দুর্নীতিকে না বলুন- পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে নানা রঙের র‌্যালি এবং সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, টেলিভিশনে নানা বিদগ্ধ জনের আলোচনা ও পত্রিকায় কলাম লেখার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার নানা প্রয়াস চলছে। কিন্তু মনে হচ্ছে উদ্বুদ্ধকরণের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিরও প্রসার ঘটছে। হয়তবা উদ্বুদ্ধকরণের প্রয়াসের মধ্যেও দুর্নীতি রয়েছে অর্থাৎ দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালি বা সেমিনার অনুষ্ঠানেও দুর্নীতি হচ্ছে, ত্রিশ টাকার ভাউচ...

বিশ্বাসীদের নিকট ইসলামের দাবী

প্রতিটি আদর্শ তার অনুসারীদের নিকট দাবী করে যে তার পছন্দের আদর্শই সেরা এবং এর প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই মানবজাতির সার্বিক কল্যাণ সম্ভব। ফলে স্বাভাবিকভাবে সে তার আদর্শ কায়েমের জন্য সচেষ্ট হয়। একজন ব্যক্তি তখনই কম্যুউনিস্ট যখন সে কম্যুনিউনিজম নামক মতবাদে বিশ্বাস করে এবং তা প্রতিষ্ঠার জন্য মন-প্রাণ দিয়ে প্রচেষ্টা চালায়। সে অন্য কোন আদর্শের অধীনে সন্তুষ্ট জীবন যাপন করতে পারে না। এটাই স্বাভাবিক। ইসলামও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম ছাড়া অন্য যে কোন আদর্শ মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত এবং তারা দাবীও করে না যে তা ঐশীপ্রদত্ত বা একেবারে নির্ভুল। ইসলামই একমাত্র জীবনব্যবস্থা যা দাবী করে যে এ কোন মানুষের রচিত নয় বরং আলাহপ্রদত্ত এবং মানুষের জন্য নির্ভুল ও সকল যুগের উপযোগী। একজন মুসলিম সেই যে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস করে, নিজের জীবনে তা অনুসরণ করে এবং এর প্রতিষ্ঠায় জানমাল দিয়ে চেষ্টা চালায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের জীবনের ব্যাপকতা যতখানি ইসলামও ঠিক ততখানি। তার হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা, আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ থেকে শুরু করে সমগ্র কর্মময় জীবনকে ঘিরে আছে ইসলাম। তবে ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম; স্বভ...

namaj shikkha নামাজ পড়ার নিয়ম

namaj shikkha নামাজ পড়ার নিয়ম জানা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জরুরি। নিয়ম না জানলে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। নিয়মের মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভেদ থাকলেও ফরজ ও ওয়াজিব বিষয়ে সবাই একমত। আসুন আল্লাহর রাসূল কিভাবে নামাজ পড়তেন জেনে নিই। মদীনায় হিজরত করার পর একটা অনুকূল পরিবেশে নিজের বাড়ীঘরের চিন্তা না করে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রসুল সা. প্রথমেই গড়ে তোলেন একটি মসজিদ। সেই মসজিদের ইমাম ও খতিব হলেন তিনি এবং মদীনায় মসজিদকেন্দ্রিক যে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠলো তিনি হলেন তার রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধান। মসজিদ সংলগ্ন ছিল তাঁর বাসভবন এবং সে মসজিদই ছিল তাঁর সচিবালয়। তিনি অত্যন্ত কর্মব্যস্ত এবং শত ব্যস্ততার মাঝে নামাজই ছিল তাঁর কাছে প্রধান অগ্রাধিকার ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি জামায়াতের সাথেই আদায় করতেন। তিনি তাঁর সাথীদের কাউকে এমন কি অন্ধ সাহাবী উম্মে মাকতুমকেও জামায়াতে আসা থেকে অব্যাহতি দেন নি। namaj shikkha  কয়েক ওয়াক্ত জামায়াত থেকে কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার সম্পর্কে কানাঘুঁষা শুরু হয়ে যেত যে সে মুনাফিক হয়ে গেছে। কোন ব্যক্তি নিজেকে মুসলিম দাবী করবে অথচ জামায়াতে শরীক...