Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2019

সূরা মাউন দারস- নামকরণ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা

সূরা মাউনের দারস- নামকরণ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা ঈমানের ক্ষেত্রে আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস (তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাত) একটি মৌলিক বিষয় এবং সমস্ত অন্যায়-অপকর্ম থেকে দূরে থাকার বড় উপায়। আল্লাহপাক সমগ্র কুরআন মজিদে বিশেষ করে আমপারার সূরাগুলোয় বিভিন্ন ভঙ্গিতে আখিরাতের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। কাফিরদের বড় আপত্তি ছিল আখিরাতে বিশ্বাসের প্রতি। মানুষ মারা যাবে, মাটির সাথে মিশে যাবে এবং আবার জীবিত হয়ে তাকে দুনিয়ার কৃত-কর্মের হিসাব দিতে হবে-এ ব্যাপারে তাদের ছিল ঘোর আপত্তি। আল্লাহর জবাব ছিল- তোমাদের প্রথমে সৃষ্টি করা যদি সম্ভব হয় তবে কেন পুনরায় সৃষ্টি কঠিন হবে? মানুষের অসংখ্য নৈতিক ত্রুটির মঝে নমুনাস্বরূপ দু’টি অপরাধ (ইয়াতিমের সাথে দুর্ব্যাবহার ও মিসকিনের খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ না করা) উল্লেখ করে বলেছেন, আখিরাতের প্রতি অবিশ্বাসই তাদের চরিত্রের মাঝে এই ত্রুটি। তাঁর ভাষায়- ‘তুমি কি তাকে দেখেছো যে কিয়ামতের বদলাকে (পরকাল) মিথ্যা মনে করে? সে তো সেই লোক যে ইয়াতিমকে ধাক্কা দেয় ও মিসকিনের খাবার দিতে উৎসাহিত করে না’। এ জাতীয় চরিত্রের অধিকারীরা যে পরকাল বিশ্বাস করে সেটা আল্লাহপাক মনে করেন না। এবারে আমরা আসি, যারা সম...

যে আমল রসুল (সা) সমর্থিত নয় তা পরিত্যজ্য

আজ কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু ’ মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর রবিউল আউয়াল মাসে সীরাতুন্ নবী (সা) নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা) ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র জগৎবাসীর জন্য রহমত। তিনি কোনো বিশেষ এলাকা, গোষ্ঠী বা গোত্র বা বিশেষ সময়ের নবী ছিলেন না। তাঁর আগমনের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, ভাষা সকলের জন্য নবী ও রসুল। আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। শুধু মানুষ নন, সকল সৃষ্টির তিনি নবী। আল্লাহপাকের ভাষায় তিনি ছিলেন ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা। মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সমগ্র সৃষ্টির সেরা, রসুলদের নেতা সাইয়্যেদুল মুরসালিন। তাঁর উম্মত হতে পারায় আমরা গর্বিত, আমরা আনন্দিত, আমরা মহাখুশি। এই আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করতে হবে অবশ্যই রসুল (সা) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের পন্থানুসারে। আমাদের সমাজে যেভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালিত হয় তা রসুল (সা), সাহাবায়ে কেরাম (রা), তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী কোনো যুগেই ছিল না বরং রসুল (সা)-এর মৃত্যুর ৬০০ বছর পর শুরু হয়েছে। বর্তমা...