আব্বার শরীরটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। ঈদ ও বিয়ে উপলক্ষে বাড়ীতে সবাই যাওয়াতে উনি একটু ভালো বোধ করছিলেন। গতকাল বাড়ী থেকে সবাই বিদায় গ্রহণ করেছে। এখন রয়েছে মাত্র আতিক ও আকিব। আকিব অবশ্য আব্বার খুব পছন্দ। রায়হানও একটু শক্তিমান ও লম্বা-চওড়া বলে আব্বা রায়হানের ওপর বেশ ভরসা পান। রায়হানও ২/১ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে। আতিক ২/১দিন হয়তো থাকতে পারে। আকিবকেই তার দাদাকে একটু সময় দিতে হবে। তিনি একটু ভালো বোধ করলে হুইল চেয়ারে বাইরে যেতে চান। মৃত্যু ভাবনা এবং মৃত্যু পরবর্তি জীবনে কী হবে ?- এ সব নিয়ে তিনি খুব চিন্তা করেন। আমাকে ডেকে নিয়ে কাছে বসিয়ে জানালেন ' আমি যেন তাঁর জানাযা পড়াই। আমি ছাড়া আর যারা দূর-দূরান্তে থাকে মৃত্যু সংবাদ শুনে তাদের কারো আসার দরকার নেই। স্ব-স্ব স্থান থেকে সবাই যেন দোয়া করেন। ' লাশ দেখতে আসা তাঁর মতে একটি অযৌক্তিক কাজ এবং অহেতুক কষ্ট করা। এতে কোন কল্যাণ নেই। এছাড়া মাইকিং করা এবং দাফন-কাফনে কোন ধরনের আড়ম্বর তাঁর পছন্দ নয়। কাফনে সাধারণ (অল্প দামে) কাপড় ব্যবহার করার তাগিদ। কোন খানা-পিনার ব্যবস্থাও তিনি অপছন্দ করেন না। তিনি যা অপছন্দ করেন আমরা চেষ্টা করবো তা থে...
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ