শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ভেড়ামারা উপজেলার
নওদা খেমিরদিয়াড় গ্রামে শিশুদের একটি স্কুল আমার স্ত্রীসহ পরিদর্শন করলাম।পল্লী শিশুনিকেতন-এর
আওতায় জেলায় মোট ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে পরিচালিত হচ্ছে।৩০ জন টার্গেট থাকলেও
এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে মোট ৪৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।ঝরে পড়ার আশঙ্কায় তারা বেশি ভর্তি
করে। আমি যাদেরকে দেখলাম তারা সবাই প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।এই শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে
এই স্কুলে শিশু শ্রেণিতে এক বছর পড়েছে। এরা ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম
শ্রেণিতে পড়বে এবং পিএসসি দেয়ার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে।বর্তমানে
বেতন ১৫০/-টাকা। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্কুলে পড়ালেখা করে।বাসায় আলাদা কোন
পড়া নেই। একজন ম্যাডাম পড়াচ্ছেন। বেতন ২৫০০/-টাকা। ঘর ভাড়া ৪০০/-টাকা, প্রতিষ্ঠান বহন
করে।শিক্ষকদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আছে এবং অঞ্চলভিত্তিক তাদের অফিস রয়েছে। এই স্কুলটি
বাহাদুরপুর অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন। গ্রামীণ লেখাপড়ার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রাকও এ
জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আমার জানা মতে তাদের ছাত্রবেতন মাসিক ২০০/-টাকা।
সন্তানের লেখাপড়ার ব্যাপারে বর্তমানে গ্রামের দরিদ্র মানুষগুলোও বেশ সচেতন।তারা সরকারি
প্রাইমারিতে ফ্রি পড়ানোর চেয়ে বেতন দিয়ে তাদের সন্তানদের পড়াতে আগ্রহী।এটা একটা ভালো
দিক। আমার জানা মতে গ্রামে বেশ কিছু ভালো মানের সরকারি প্রাইমারি স্কুলও আছে এবং পিএসসি
পরীক্ষায় তাদের ফলাফলও বেশ সন্তোষজন। এই স্কুলে নিয়মিত এসেম্বলি হয়ে থাকে।শিশুদের কলোরবে
মুখরিত স্কুলটি পরিদর্শন করে বেশ ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে কথাবার্তাও বললাম।ওদের
মধ্যে অনেকে ডাক্তার, শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নও দেখে। আমরা এই বাচ্চাদের জন্য
দোয়া করি। ১৩/০৩/২০১৭
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment